ডেরেক এর বিরুদ্ধে রাজ্য সভার রুল বুক ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল



তনজিৎ সাহা, কলকাতা:


তুলাকালাম রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাস করা নিয়ে। বিরোধীদের প্রবল হট্টগোল, বিক্ষোভের মধ্যেই রুল বুক ছেঁড়া ও ডেপুটি চেয়াম্যানের মাইক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল ডেরেক ও'ব্রায়েনের বিরুদ্ধে। যদিও পরে সংসদের বাইরে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, এমন হলে তিনি সাংসদ পদ থেকেই ইস্তফা দেবেন। ডেরেকের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে।’’ বিষয়টিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু হস্তক্ষেপ করতে চলেছেন বলে সংসদ সূত্রে খবর। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। একাধিক টুইটে ডেরেককে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও।




কৃষি বিল ঘিরে রবিবার গোড়া থেকেই তপ্ত ছিল রাজ্যসভা। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিল কার্যকর হলে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন না। ‘কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা’ বলে বিলের বিরুদ্ধে অধিবেশনেই সরব হয় কংগ্রেস। ওয়েলে নেমে ধর্নায় বসেন সাংসদরা। শুরু হয় তুমুল হইচই, স্লোগান, বিক্ষোভ। তার মধ্যেই ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গিয়েছে কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত দু’টি বিতর্কিত বিল। সভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। বিক্ষোভ চলাকালীন কয়েক জন বিরোধী সাংসদ ডেপুটি চেয়ারম্যানের চেয়ারের কাছে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, সেই সময়ই ডেপুটি স্পিকারের সামনে রুল বুক ছিঁড়ে দেন ডেরেক। তিনি মাইকও ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।




যদিও ডেরেক দাবি করেন, তিনি যে রুল বুক ছেঁড়েননি, তার প্রমাণ যথাসময়ে দেবেন। সংসদের সেন্ট্রাল হল থেকে একটি ভিডিয়ো শুট করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কিছু বার্তা দেন ডেরেক। পরে অন্য একটি ভিডিয়ো বার্তায় সেন্ট্রাল হলের ওই ভিডিয়ো ব্যবহার না করার আর্জি জানান তিনি। দ্বিতীয় ওই ভিডিয়োতে তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্যসভা টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যসভায় কী ঘটেছে, আমাদের কাছে তার ভিডিয়ো ফুটেজ আছে। সাংসদরা ভোটাভুটির দাবি করেন। কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়। এটা অভূতপূর্ব। এটা খারাপ অর্থে ঐতিহাসিক দিন।’’