দুর্গাপুজো নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা মমতা ব্যানার্জির



২২ শে অক্টোবর থেকে বাংলার বড় উৎসব দুর্গাপূজা। করোনার বেশ প্রভাব পড়েছে এবারের দুর্গাপূজা ঘিরে। বাঙালির ঘরে ঘরে এখন একটাই আনাগোনা কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে হবে এবারের দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার প্রাক্কালে একাধিক নির্দেশিকা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নিউ নর্মালে পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে আজ পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এদিনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপূজা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা পেশ করলেন। এদিন তিনি বলেন, 'এবার পুজোর একমাস আগেই মহালয়া। করোনার জন্য অনেক উৎসবই ঠিক মতো হয়নি। সবাই সুরক্ষা বিধি মেনে উৎসব করেছেন। অনেকেই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করেছে।' আরও পড়ুনঃ প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য মাস্ক, জারি বিজ্ঞপ্তি



রাজ্য পুলিশ এলাকায় ৩৪ হাজার ৪৩৭টি পুজো, কলকাতা পুলিশ এলাকায় ২ হাজার ৫০৯টি, রাজ্য জুড়ে মহিলা পরিচালিত পুজো ১ হাজার ৭০৬টি পুজো হয় বলেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।




এদিন, করোনা সংক্রমণ রুখতে পুজো কমিটি গুলি তিনি যে গাইডলাইন দিলেন তা হল- 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 

  • এবার পুজোয় একটু খোলামেলা মণ্ডপ তৈরি করুন। পুজোর পরে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সেদিকটা দেখতে হবে।
  • মণ্ডপ এমন করুন, যাতে হাওয়া চলাচল করে। মণ্ডপের সাইড ঢাকা রাখতে হলে, ছাদ খোলা রাখুন। মণ্ডপের চারিদিক খোলা রাখলে ছাদ ঢাকা রাখুন।
  • দর্শকদের মধ্যে দূরত্ব যেন বজায় থাকে সেই দিকটা নজর রেখে মণ্ডপ বানান। ভিড় এড়াতে প্রবেশ ও বাহির পথ আলাদা আলাদা করুন ।
  • মণ্ডপে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। মণ্ডপে মাস্ক পরে প্রবেশ করতে হবে, হাফ কিলোমিটার আগেই স্যানিটাইজার দিতে হবে দর্শনার্থীদের হাতে।
  • ‘কেউ মাস্ক না পরে এলে, মাস্ক পরতে বলতে হবে।
  • সুরক্ষার জন্য বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের ফেস শিল্ডের পড়তে হবে।
  • অঞ্জলির সময় ভিড়, দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। একটা সময় না করে, আলাদা সময়ে সিঁদুর খেলুন।
  • এবারের পুজো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। 
  • ভিড় এড়াতে রাস্তায় আরও বেশি মার্কিং,ব্যারিকেড দিতে হবে।



পাশাপাশি, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজোর জন্য দমকল কোনও চার্জ নেবে না, পুরসভা, পঞ্চায়েত কোনও ফি নেবে না। পুজোর জন্য সিইএসসি ৫০ শতাংশ ছাড় দেবে। পুজোর জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ৫০ শতাংশ ছাড় দেবে। পুজোর ১০ বছর হয়ে গেলে অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি দেখা হবে। পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার।