মৃগাঙ্ক সরকারঃ 

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলাকাললীন ২০১৯ এর ১০ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে গত ২৯শে জানুয়ারি থেকে জেলে আছেন কাফিল খান। ইউপি সরকার জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ) প্রয়োগ করে তাকে গ্রেফতার করে। 


কাফিল খানের মা নুজাত পারভিন তার মুক্তি চেয়ে যে হেবিয়াস কর্পাল রিট পিটিশন জমা দিয়েছিলেন, তাতে সম্মতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মারহার ও বিচারপতি সৌমিত্র দয়াল সিংহকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ। সেখানে বলা হয় তার ভাষণে কোনোরকম ঘৃণা-বিদ্বেষ বা হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া হয়নি।

বেঞ্চ জানায়, যে ভাষণের কথা বলা হয়েছে তাতে আলিগড়ের শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করার কথা নেই। বরং তাতে জাতীয় সংহতি, দেশবাসীর ঐক‍্য রক্ষার কথা বলা হয়েছে, যে কোনও হিংসারও নিন্দা করা হয়েছে। যা ভালো মতো শুনলেই স্পষ্ট সেখানে কোনো উস্কানি ছিল না। 

ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাফিল খানের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। বিভিন্ন ডাক্তারদের সংগঠনগুলিও প্রতিবাদে সামিল হন। একইসাথে সোশাল মিডিয়াতেও #Relaeasedrkafeelkhan হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নেটিজেনরা প্রতিবাদে সামিল হয়। অবশেষে কাফিল খানের ওপর থেকে এনএসএ চার্জ সরিয়ে নিয়ে তাকে মুক্তি দেওয়ায় নেটিজেনরা অনেকেই খুশি হয়েছে বলা জানা যাচ্ছে।