করোনা সচেতনতায় ভাদু গানকে হাতিয়ার করে নিয়েছেন শিল্পীরা
সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান ঃ
করোনা সচেতনতায় ভাদু গানকে হাতিয়ার করে পথে পথে ঘুরছেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বলগোনা গ্রামের শিল্পীরা। প্রচলিত সুরে করোনা মহামারীতে গ্রামে গঞ্জের মানুষকে সজাগ করছেন ভাদু শিল্পীরা।
ভাদ্রমাস এলেই ভাদুগানের দল নিয়ে বেরিয়ে পড়া রেওয়াজ এ গ্রামের। তবে আগে যেমন ভাদুর জীবনের সুখদুঃখের কথা বলা হতো গানে, এখন তা বদলে গিয়েছে সমাজ সচেতনতার কথায়। তবে ভাদ্র মাসে ভাদুবেশে শিশুশিল্পীদের নাচ আর গান শুনতে উৎসাহে ভাটা পড়েনি এতটুকুও। এ বার ভাদ্র মাসে বেরিয়ে পড়েছে ভাতারের বলগোনা গ্রামের ওই ভাদুদল। দু’দিন ধরে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভাদুগানে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন দলের সদস্যরা।
এঁরা সকলেই শ্রমজীবী। এক জন দলপতিও রয়েছেন। তাঁরাই জানান, উৎসব শেষে সচেতনতার প্রচারে সরকারি, বেসরকারি মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তাঁরা। বর্ধমানের বিভিন্ন ব্লকে, মহকুমা শহরে, বর্ধমান-দুর্গাপুর-আসানসোল-কাটোয়ার মেলা বা অনুষ্ঠানে ভাদুগান গান।
ভাদুগানের দলপতি বলেন, পূর্বপুরুষরা ভাদুর জীবনের সুখদুঃখের কথা গানের মাধ্যমে বলতে গ্রামেগঞ্জে দল নিয়ে যেতেন। কিন্তু বর্তমানে আমরা নানা সামাজিক দিক নিয়ে গান সাজাই। যেমন ‘১৮ বছরের মেয়ে ২১ বছরের ছেলে হলে তার নীচে কেউ দিও না বিয়ে’’। এ ছাড়া গর্ভবতীদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া, বর্ষাকালে ডায়েরিয়ার প্রকোপ, জন্মমৃত্যুর সার্টিফিকেট নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে গান বেঁধে উৎসবের দিনগুলিতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াই। এখন করোনা নিয়ে সচেতনতা চলছে।তাঁদের দাবি, এ সব গানে দর্শক ও শ্রোতারা যথেষ্ট উৎসাহ দেখান।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊