গ্রামীণ কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী ও আদিবাসী মানুষের স্বার্থে একগুচ্ছ দাবী জানাল স্বরাজ ইন্ডিয়া ও জয় কিষাণ আন্দোলন



ঝাড়গ্রাম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০: স্বরাজ ইন্ডিয়া ও জয় কিষাণ আন্দোলন, ঝাড়গ্রাম জেলার পক্ষ থেকে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল আজ গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের বি.ডি.ও’র সাথে দেখা করে, এলাকার কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে ২৮ দফা দাবী সনদ পেশ করেন। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্বরাজ ইন্ডিয়া গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের আহ্বায়ক বেঞ্জামিন টুডু, জয় কিষাণ আন্দোলনের পক্ষ থেকে বারডু মান্ডি এবং অশোক মাহাতা। 


তারা বলেন অঞ্চলে কৃষিজীবী, শ্রমজীবী এবং আদিবাসী শ্রেনীদের বহু সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এর ওপর কোভিড অতিমারীর কারণে দুর্দশা আরো বেড়েছে। তাই তারা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন অবিলম্বে যেন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে মানুষকে দুর্দশামুক্ত করা হয়। তারা আরো জানান ইতিবাচক পদক্ষেপ সরকারী তরফ থেকে গ্রহণ না করা হলে স্বরাজ ইন্ডিয়া ও জয় কিষাণ আন্দোলন মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।  

  

পেশ করা দাবীসমূহ:

১) একশো দিনের কাজ সকল জব কার্ড গ্রাহকদের দিতে হবে।

২) এখনো যেসকল প্রাপ্তবয়স্কদের জব কার্ড হয় নি অথছ তারা কাজ করতে সক্ষম তাদের জব কার্ড করে কাজ দিতে হবে।

৩) কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম গ্যারান্টি করতে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। উৎপাদন খরচের দেড়গুন দামে গ্রামে ক্যাম্প করে  প্রকৃত চাষীদের থেকে ফসল কেনা সুনিশ্চিত করতে হবে। 

৪) চুক্তিচাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।

৫) সমস্ত  কৃষকদের সব ধরনের কৃষিঋণ মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। 

৬) লকডাউন এবং আমপান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কৃষকদের এ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা লকডাউন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।  ভাগ ও চুক্তি চাষীরা যাতে সমস্ত রকম সরকারী সুবিধা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

৭) বনাধিকার আইন কার্যকরী করে আদিবাসী ও বনবাসীদের জল জঙ্গল জমির অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। 

৮) এ রাজ্যে পিএম কিষাণ প্রকল্পের ৬ হাজার টাকা ও কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৫ হাজার টাকা প্রতিটি কৃষককে দিতে হবে।

৯) কৃষিমজুর ও গ্রামীণ গরীবদের জব কার্ডে   ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

১০) কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের কাজ সকল গ্রামে চালু করতে হবে। কৃষিকাজ কে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ২০০ দিনের কাজ ও ৬০০ টাকা মজুরী দিতে হবে।

১১) করোনা সময়কালে বিদ্যুৎ বিল মুকুব করতে হবে।

১২) জঙ্গলে শালপাতা তুলতে গেলে কোন বাধা দেওয়া যাবে না।

১৩) হাতির দ্বারা ফসল নস্ট সহ ঘর ভাঙার ক্ষতিপূরণ দ্রুত প্রদান করতে হবে।

১৪)তপশিলী জাতি এবং উপজাতিদের গ্রামে গ্রামে শিবির করে জরুরী ভিত্তিতে শংসাপত্র প্রদান করতে হবে।

১৫) যারা এখনো ডিজিটাল রেশন কার্ড পায়নি অবিলম্বে তাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড দিতে হবে।

১৬) গোপিবল্লভপুর - ১ ব্লকে সকল সমবায় গুলিকে পুনরায় সক্রিয় করতে হবে।

১৭) বেআইনী ভাবে বালি,তোলা বন্ধ করতে, এবং ওভারলোভিং এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

১৮) এই ব্লকের সকল কৃষকের স্বার্থে সেচ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে।

১৯) কৃষিকাজে ব্যবহারকারী সকল যন্ত্রপাতি সহ সার বীজ সুলভে মুল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

২০) নগদে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার ব্যবস্থা করতে হবে।

২১)শস্য বিমা সকল কৃষকের করার ব্যবস্থা করতে হবে।

২২) প্রতিটি প্রবাসী শ্রমিককে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

২৩) করোনা এবং গ্রামীন চিকিৎসার উন্নতির জন্য ব্লক স্তরে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

২৪) আদিবাসী  সম্প্রদায়ের সকল পাট্টা জমি অবিলম্বে  রেকর্ড করে দিতে হবে। 

২৫) B.P.L. তালিকাভুক্ত নয়, কিন্তু দরীদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের আবাস যোজনার অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।

২৬)অবিলম্বে এই ব্লকে কিষাণ মান্ডি তৈরী করতে হবে।

২৭) সকল কৃষকদের KCC সুবিধা দিতে হবে।

২৮) কৃষক বাজার তৈরী করতে হবে।