ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসগরের জন্মদিন পালিত দিনহাটার নিগমনগরে



তনুময় দেবনাথ, নিগমনগরঃ 

উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক এবং জনহিতৈষী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম বার্ষিকী আজ।  ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহ রাজময় তর্কভূষণ ছিলেন,  সুপণ্ডিত ও বলিষ্ঠ দৃঢ়চেতা পুরুষ।  ইনিই ঈশ্বরচন্দ্র-র নামকরণ করেন। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচ বছর বয়সে ঈশ্বরচন্দ্রকে গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করানো হয়। ১৮২৮ সালে তিনি কলকাতার একটি পাঠশালায় এবং ১৮২৯ সালে সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হন। পরে তিনি ওই কলেজেই ব্যাকরন, সাহিত্য, অলংকার, ন্যায়, বেদান্ত, হিন্দু-আইন এবং ইংরেজি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। আরও পড়ুনঃ  ১ অক্টোবর থেকে স্বাভাবিক হচ্ছে অনেক কিছুই- বড়  ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা ভাষার প্রধান পন্ডিত এর পদ লাভ করেন। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় উপলব্ধি করেছিলেন পুরনো মূল্যবোধ এবং পরিবারের ভেতর থেকে যদি পরিবর্তন না আনা হয়,  তাহলে সমাজ এবং দেশের কখনো প্রকৃত উন্নতি হবে না। এজন্য তিনি বিধবা-বিবাহ চালু করেন।

বহু বিবাহ ও বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ এবং স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের জন্য আন্দোলনের পথ বেছে নেন। বিদ্যাসাগরকে অনেকেই দয়ার সাগর বলেন। তিনি শুধুমাত্র একজন অকল্পনীয় পন্ডিত ছিলেন তাই নয়, ছিলেন একজন অত্যন্ত বড়মাপের বিশাল হৃদয়ের দয়ালু মানুষ। বিদ্যাসাগর ছিলেন, একজন নতুন ধারণার পথিকৃৎ।

অন্ধকার ভারতবর্ষে উনি ছিলেন, একজন পথপ্রদর্শক মশাল। বিদ্যাসাগর এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসের সাক্ষাৎকার একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

আজ ২৬ শে সেপ্টেম্বর দ্বিশত বর্ষ পূরণ করে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০১তম জন্ম জয়ন্তী। বিদ্যাসাগরের ছবিতে মালা পড়ানো হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট করে অনুষ্ঠান করে নিগমনগরের একটি বেসরকারী বিদ্যালয় নিগমনগর শিশুতীর্থ। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা সহ বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সদস্যরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমরেন্দ্র দেবনাথ বিদ্যাসাগরের জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করেন এবং আজকের দিনে বিদ্যাসাগর সহ অন্যান্য মনীষীদের জীবনী চর্চার প্রাসঙ্গিকতা সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেন। তবে শিক্ষকদের মন ভারাক্রান্ত বিদ্যালয়ের কচিকাঁচাদের ছাড়া এই প্রথম এভাবে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালিত হওয়ায়।