ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে সংসদে বিবৃতি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর 




ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ নিয়ে সংসদে বিবৃতি পেশ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ভারত- চিন সীমান্ত বিবাদ এখনও মেটেনি এবং এর কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। এদিন এমনটাই তাঁর বিবৃতিতে জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। 



দুই দেশ শান্তি স্থাপনের বিষয়ে সহমত বলে জানিয়ে লোকসভায় এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বিবৃতিতে বলেন, ‘সীমান্ত বিবাদ খুবই গুরুতর বিষয়। দুই দেশ শান্তি স্থাপনের বিষয়ে সহমত। আশা করা যায়, শান্তিপূর্ণ আলোচনায় সমাধান মিলবে। কিন্তু ভারত-চিন সীমান্ত মেটেনি। এখনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি।' পাশাপাশি, আরও বলেন, সংসদের কাছে আমার অনুরোধ, ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য সীমান্তে সশস্ত্রবাহিনীর জওয়ানরা যেভাবে লড়াই চালাচ্ছেন, তাতে তাঁদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানোর জন্য একটি প্রস্তাব পাশ করা হোক। আমি আশ্বস্ত করছি, আমাদের জওয়ানদের মনোবল অটুট। সে বিষয়ে কারও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। লাদাখে প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ভারতের মানুষ সশস্ত্রবাহিনীর পাশে আছে। আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি।’



তিনি আরও বলেছেন, ‘চিন বেশ কয়েকবারই স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা করলেও আমাদের জওয়ানরা তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন। আমাদের সশস্ত্রবাহিনী যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি। আমরা সেনাবাহিনীর পাশে দৃঢ়তার সঙ্গে রয়েছি। গত ১৫ জুন আমাদের জওয়ানরা স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। জওয়ানরা আত্মবলিদান দিয়েছেন। চিনেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চিনের এই প্রচেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। দুই দেশকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে মর্যাদা দিতে হবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এবং অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে চিন প্রচুর সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করেছে। পূর্ব লাদাখ, গোগরা, কোঙ্গা হ্রদ, প্যাঙ্গং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত অঞ্চল আছে। সেই অঞ্চলগুলিতে ভারতীয় সেনাও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে।’




চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন আমাদের সেনা জওয়ানরা সীমান্তে সবসময় দায়িত্ববান আচরণ করেন বলেই জানান তিনি।