BREAKING NEWS  পূজার আগেই কলেজের ফাইনাল পরীক্ষা 



করোনার জেরে কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা চলছেই। পড়ুয়াদের স্বার্থেই আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিকে টার্মিনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ পাঠায় ইউজিসি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ইউজিসি-র কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশা। আজ UGC এর guidline নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়- "রাজ্য চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীদের পদোন্নতি দিতে পারে না। যদি কোনও রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে যে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়, আমরা তাদেরকে ইউজিসির কাছে সময়সীমা বাড়ানোর জন্য স্বাধীনতার অনুমতি দিই।"
উপাচার্যদের সাথে শিক্ষামন্ত্রীর ভার্চুয়াল মিটিং 



আর এরপরেই আজ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায় মহাশয়ের সাথে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মিটিং এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় পূজার আগেই অর্থাৎ অক্টোবরেই শেষ করতে হবে কলজের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা।

শুধু তাই নয় অনলাইন বা অফলাইনে বা দুইভাবেই নেওয়া ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল অক্টোবরের মধ্যেই প্রকাশ করবার কথাও বলা হয়েছে মিটিং এ।   

১-১৮ অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করবার কথা বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 



প্রসঙ্গত কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা বা পরামর্শ না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য গুলি। করোনা পরিস্থিতির জেরে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া কখনই সম্ভব নয় ও করোনা আবহে পরীক্ষা নেওয়া পড়ুয়াদের বিপদের মধ্যে ঠেলে দেওয়ার সামিল বলেও মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।  

একটি নির্দেশিকায় ইউজিসি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। এমনকি ইউজিসি জানিয়েছে যে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা না নিয়ে স্নাতক শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি দেওয়া যেতে পারে না। অথচ দিল্লি, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং মধ্য প্রদেশ সহ রাজ্যগুলি চূড়ান্ত বছরের বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ইতিমধ্যে বাতিল করেছে।