পায়ে হেঁটে সারা ভারতে কোভিড সচেতনতা প্রচারে সোনালী চতুর্ভুজ


সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান

কোভিড ১৯ এর আতঙ্কে গোটা পৃথিবীর মানুষ। এর মধ্যেও অনেকের মধ্যে দেখা যাচ্ছে সচেতনতার অভাব। করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হচ্ছে মাস্ক, স্যানিটাইজার এর পাশাপাশি দূরত্ব বজায় রাখার জন্য।এ বিষয়ে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বত্রই সর্বদা প্রচার চালাচ্ছে লাগাতার। এর মধ্যেও সচেতনতার অভাব দেখা দিচ্ছে বেশ কিছু মানুষের মধ্যে।


করোনার সংক্রমণ রুখতে মাস্ক স্যানিটাইজার এর পাশাপাশি দূরত্ব বজায় রাখার সচেতনতা বার্তা দিতে পায় হেঁটে ভারত প্রচারে পারিদিলো সোনালী চতুর্ভুজের হাওড়ার বাসিন্দা ঠাকুরদাস শ্বাসমল। (যিনি সকলের কাছে দাসুলের নামে পরিচিতি)। 


আজ বর্ধমান উল্লাস থেকে সাদা পতাকার নারী তার ভারত প্রচারের যাত্রার সূচনা করেন বিধায়ক নিশীথ মালিক, ট্রাফিক ইনস্পেক্টর সঞ্জয় চ্যাটার্জ্জী, ট্রাফিক ওসি সংগ্রাম মহান্তি, পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি রাস বিহারী হালদার সহ অন্যান্যরা । পল্লীমঙ্গল সমিতির পক্ষ থেকে থাকুরদাস শ্বাসমলের হাতে তুলে দেওয়া হয় কুটির সুরক্ষা প্যাকেজ যা তার চলার পথে এবং সাধারণ মানুষের জন্য করোনা সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করবে।


দাসুদা বলেন আজ পূর্ব বর্ধমান থেকে করোনা সচেতনতা বার্তা তার শুরু।বর্ধমান থেকে সোজা গিয়ে পৌঁছবেন দিল্লী এরপর রাজস্থান, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই থেকে অন্ধপ্রদেশ,হয়ে কলকাতা ফিরবেন। গোটা ভারত পরিদর্শন করতে তার সময় লাগবে ৫ মাস। 


এর আগেও তিনি পায়ে হেঁটে মরণোত্তর দেহদানের প্রচার করেছিলেন।করোনা সম্পর্কে তিনি পথচলতি সাধারণ মানুষদেরকে অবগতর পাশাপাশি সতর্ক করবেন সাথে সাথে মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন জানাবেন বলে জানান ঠাকুরদাস শ্বাসমল।