বিশ্ব ব্যাপী মহামারীর আকার ধারন করা কোভিড ১৯ নিয়ে গবেষণা চলছে সারা বিশ্বজুড়ে। এর মাঝেই প্রথম কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন এর টীকা উদ্বোধন করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্বে এটিই প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। 




যদিও, ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল এখনও সম্পূর্ণ হয়নি ফলে বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। কম সময়ে ভ্যাক্সিন তৈরির বিষয়টাকে উদ্বেগের চোখে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সুরক্ষা ও কার্যকারিতায় এখনও মেলেনি চূড়ান্ত ছাড়পত্র। সুরক্ষা ও কার্যকারিতার ছাড়পত্র না মিললেও আগেই ঘোষণা কতটা যুক্তিযুক্ত সে নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। 


রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের নথিভুক্তিকরণ করা হল। প্রথম টিকাগ্রহণ করেছেন তাঁর এক মেয়ে। সে সে ভাল আছে বলেও জানান পুতিন। পুতিনের দাবি, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদী রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। সব মাপকাটিতে সাফল্য লাভ করেছে এই ভ্যাকসিন। 

তবে আরও একধাপ এগিয়ে খুশির খবর সামনে এসেছে।  পুতিন কন্যার দেহে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। 
খবর স্পুৎনিক নিউজের। পুতিন একটি সাক্ষ্যাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন- টিকা গ্রহণের প্রথম দিন মেয়ের শরীরে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল। দ্বিতীয় দিন তাপমাত্রা হয় ৩৭ ডিগ্রির কিছু বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২১ দিন ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যায়।

একই সাথে আরও একটি সুখবর শুনিয়েছেন পুতিন। তিনি জানান, করোনাভাইরাসের বিরু'দ্ধে ল'ড়তে রাশিয়ার তৈরি আরেকটি টিকা তৈরি হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে সেটি প্রস্তুত হয়ে যাবে।

গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যালেক্সেন্ডার গিন্টসবার্গ জানাচ্ছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসের ভিত্তিতে তৈরি নির্জীব কণা ব্যবহার করবে এই টিকা৷ এতে মানব শরীরে কোনও ক্ষতি হবে না৷ যে কণা এবং বস্তু তাদের নিজস্ব প্রজনন করতে পারে সেগুলিই জীবন্ত বলে মনে করা হয় বলেই তাঁর মত।