লেখার পেন্সিলের উপর ছুরি দিয়ে খোদাই করে সবথেকে ছোট জাতীয় পতাকা তৈরী করে ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসের স্বীকৃতি পেল আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকার অভিজিৎ। 


তনুময় দেবনাথ, আলিপুরদুয়ারঃ 

শিল্পী অভিজিৎ সরকার বাড়ি আলিপুরদুয়ার। বয়স মাত্র ১৯বছর। এবছরই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। কখনো সাবান কখনো চক কখনো পেন্সিল। কখনো  রং তুলির মাধ্যমে তার শিল্প নৈপুণ্যতার পরিচয় দিয়েছেন বারংবার | ছোট থেকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছে। ভবিষ্যতে ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক হিসেবে জনসেবা করতে চায়।  অভিজিতের শিল্প কর্মের কয়েকটি সৌন্দর্য সে সবার মধ্যে তুলে ধরেছে ছেলেবেলা থেকেই। এত কম বয়সে তাঁর সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি উদার চিন্তাধারা, শিল্পের প্রতি এত সুন্দর মনোভাব  আগামী দিনে সে তাঁর জীবনের সকল স্বপ্নগুলোকে পূর্ণতার দিকে নিয়ে যাবে এই আশা রাখছে প্রতিবেশী, কাছের লোক সহ অনেকেই। 


লেখার পেন্সিলের উপর ছুরি দিয়ে ছবি খোদাই করে জাতীয় পতাকা তৈরী করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার আলিপুর জংশন এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার। তাঁর এই শিল্প কর্ম করতে মোট সময় লেগেছে ৩০ মিনিটে এর মত।

 অভিজিৎ জানায় ছোট বেলা থেকেই সে ছবি আঁকতে খুব ভালবাসে। লেখার পেন্সিলের উপর সবথেকে ছোট ভারতের জাতীয় পতাকা ( ৪ মিলিমিটার প্রস্থ ও ৭ মিলিমিটার লম্বা) খোদাই করে এই মাসের  ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে সে আবেদন জানায়। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের মাসে তাকে ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডস থেকে অভিজিৎ সরকারকে তাঁর কাজের স্বীকৃতি জানানো হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই খুশি পাড়া প্রতিবেশী সহ সমগ্র আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকা বাসী। 


 অভিজিৎ আরও বলেন সে বিভিন্ন সময়ে চকের উপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুর্তি করেছে, সবানের উপর বিভিন্ন কাজ সে করেছে । অনেকদিন থেকে বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়ায় বিভিন্ন শিল্প কর্ম দেখে এসেছে, এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় রেকর্ড করছে সেই থেকেই তাঁর এই ভাবনা। কিছুদিন থেকে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই ধরনের কাজ করার। ছোট থেকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছে। রাজ্যস্তরে সাফল্য এসেছে আগেই। তবে তাকে যে ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডস থেকে স্বীকৃতি দেবে এটা তাঁর কাছে অভাবনীয়। ভবিষ্যতে এই ধরনের আরো কাজ করার ইচ্ছা আছে। সে আরও জানায় উত্তরবঙ্গে একটা আর্ট কলেজ করা খুব দরকার। অভিজিতের বাবা ও মা বলেন  তাদের ছেলের এই সাফল্যে তারা খুব খুশি। অভিজিতের বাবা কাঠের কাজ করেন। তিনি জানান ছেলে যদি আঁকা নিয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে চায়, তবে অর্থনৈতিক বাধা অতিক্রম করে ছেলেকে সবরকম ভাবে সাহায্য করবেন তারা।