দিন দিন করোনা ভয়াল আকার ধারন করছে। প্রতিদিনেই প্রায় পুরাতন রেকর্ড ভেঙে নিজেই গড়ছে নতুন রেকর্ড। শক্ত হাতে করোনা মোকাবিলা করতে পারছে না রাজ্য সরকার এমন অভিযোগ বারে বারে করছে বিরোধীরা। আর সেই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে রাজ্যে পূর্ণ সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী না থাকাকেই দায়ী করছে বিরোধীরা। এমনটাই মিলছে ইঙ্গিত।
করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতেও রাজ্যে পূর্ণ সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই কেন? মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কি আছে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে এই প্রশ্ন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।
চিঠিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব বদল, ডাক্তার বদল, সুপার বদল হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রী নেই এনিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। চিঠিতে লিখেছেন, "রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এই সময় একাধিকবার বদল হল। হাসপাতালের সুপার, কর্মরত ডাক্তার প্রায় প্রতিদিনই বদল হচ্ছেন।অথচ স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা বহাল তবিয়তে।সঙ্কট তো ব্যবস্থাপনার।সরকারি পরিকল্পনা এবং উদ্যোগের।স্বাস্থ্যের রাষ্ট্রমন্ত্রী কোথায়? কী তাঁর দায়িত্ব? আংশিক সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।তিনি ব্যস্ত অন্যত্র।মানুষের জীবনের চাইতে ভোট ও ক্ষমতার স্বাদ তাঁর কাছে শ্রেয়।করোনা অনেক দেরি হয়ে গেছে। চিকিত্সা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। মানুষ প্রতিনিয়ত বিপদের মুখোমুখি।"
চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, সবজান্তা মনোভাব ত্যাগ করুন।বিশেষজ্ঞদের ডাকুন, পরামর্শ করুন। স্পষ্ট নির্দেশিকা, সক্রিয় ও কার্যকরী হেল্পলাইনের ব্যবস্থা করুন। সবাইকে যুক্ত করে স্বচ্ছতার সাথে এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবকবািনী গড়ে তুলুন।সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যব্যবস্থার বেহাল দশাকে মেরামত করার উদ্যোগ নিন। ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করুন। আপাতত আপনার পছন্দমত পূর্ণ সময়ের বরিষ্ঠ অন্য কোনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগ করুন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊