স্বাধীনতার 73 বছর পরে দাঁড়িয়ে কেনো আজও মনে হয় আমরা স্বাধীন নয়
প্রিয়াঙ্কা অধিকারী
"ও আমার দেশের মাটি,
তোমার ' পরে ঠেকাই মাথা।
তোমাতে বিশ্বময়ীর,
তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা '।
রাজ্য ভাঙ্গা গড়ার খেলা আমাদের দেশে বহুকাল থেকে চলে আসছে।1498 ভারতে এলো এক পর্তুগীজ নাবিক ভারতের সাথে শুরু হল বানিজ্য। নাম ভাস্কো - দা - গা - মা।হল্যান্ড থেকে এলো ওলন্দাজ ,ফ্রান্স থেকে ফরাসী, শক,হুন, কুষাণ,মোঘল একে একে নানা জাতি।জাহাঙ্গীর আর আমলে মোগল সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে ব্রিটেন থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশে ঘাঁটি গাড়ল।ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে বাংলার সিংহাসন দখলের চেষ্টা করলো।ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বাদি শাসনের তিনটি পর্যায়-
বণিক মূলধন(marchant capital)
শিল্প মূলধন(industrial capital)
ফিন্যান্স মূলধন(finance capital)
( B chandra,A Tripathi and B.De বলেছেন - "the nature of british rule and imperialism changed with the changing pattern of britain's own- social,economic and political development".
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন লর্ড ক্লাইভ তার সঙ্গে যুদ্ধ বাদলো বাংলার নবাব সিরাজ উদ দৌলা।১৭৫৭ সালে ২৩ শে জুন পলাশীর প্রান্তরে ভয়ংকর যুদ্ধ হয়।সিরাজের 62 হাজার সৈন্য থাকা সত্বেও মীরজাফর এর বিশ্বাস ঘটকতায় সিরাজ হেরে যায়।50000 সৈন্য ও অশ্বারোহী দাঁড়িয়ে থাকে যুদ্ধ করে না।সিরাজ পরাজিত হয় কোম্পানী র কাছে।শুরু হলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জয়যাত্রা।সৃষ্টি হয় পরাধীন ভারতের।পলাশীর যুদ্ধের পর 100 বছর চলে ডালহৌসি,হেস্টিংস ,কর্ণওয়ালিস এদের নেতৃত্বে অকথ্য অত্যাচার।কোম্পানি হলো ভারতের একাধিপত্য সম্রাট। আরও পড়ুনঃ আগামী নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলিতে মিড ডে মিলে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের নির্দেশিকা
Follow this link to join our WhatsApp group: CLICK
তারা অত্যাচারে ভরিয়ে দিল বাংলার মানুষের মন ,অতিষ্ট করল তাদের জীবন ,বাংলার ঘরে ঘরে তখন হাহাকার ,নেই খাদ্য, পেটে ভাত নাই,জ্বলছে আগুন। এমন সময় ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে আলোর সন্ধান দিয়ে যাই ডেভিড হেয়ার, মার্সমন,জন বেথুন,উইলিয়াম কেরী এই সকল আদর্শ বান ইংরেজের সং স্পর্শে এসে বাংলাতে শুরু হয় নব জাগরণ। যখন ইংরেজের প্রবল অত্যাচারে অতিষ্ট বাংলার জনগন সেই সময় এলো রাজা রামমোহন রায় লর্ড বেন্টিং এর সাহায্যে রদ করলেন সতীদাহ প্রথা । সতীদাহ প্রথা বন্ধ হওয়ায় শান্তি পেলো বহু অসহায় নারী ।কিন্তু মিললো কি স্বাধীনতা? স্বাধীন হলো নারী ? হবেই বা কি করে শিক্ষার আলো নেই তাদের মধ্যে ।পুরুষ ছাড়া যে তারা একেবারে অসহায় ।এক পাও চলার ক্ষমতা নেই তাদের।নারীদের এই দুঃখ দূর করতে এগিয়ে এলেন বিদ্যাসাগর মহাশয়। ওনার চেষ্টা ই হলো অনেক বালিকা বিদ্যালয় ।নারীরা শিক্ষা আলোকে হলো শিক্ষিত। কিন্তু তাতেও মিললো কি স্বাধীনতা? আজ 2020 সালে দাঁড়িয়ে একই প্রশ্ন মিললো কি নারী স্বাধীনতা?
1831 সাল বারাসাতের তিতুমীর করলেন বাসের কেল্লা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে।তিনি বলেছিলেন - " এ মাটি মুদের মা আছে আর জন্য মুরা যান দিবই"।
ইংরেজ দের কমন ও গোলার সামনে ভেঙে পড়ে তার বাসের কেল্লা। আর পর সারা দেশ জুড়ে শুরু হয় বিদ্রোহ , ছোটনাগপুরে হয় কোলবিদ্রোহ, এর পর সিনভূম,মালভূম এলাকা নিয়ে শুরু হয় বিদ্রোহ বিদ্রোহ হয় মহাজন দের বিরুদ্ধে ।মহাজনরা গরীব মানুষের ঘর কেরে নেই ।তাদের অসহায় করে তোলে। এর পর ওরাও ,মুন্ডা বিদ্রোহ করলো । পুড়তে থাকলো মহাজনদের ঘর। সাঁওতাল রা মহাজনদের বিরুদ্ধে সিধু ,কানুর নেতৃত্বে 50000 লোক বিদ্রোহ করে।কিন্তু তাদের তীর ধনুক পারলো না কোম্পানির গুলি আর কামানের সামনে। পুড়ে গেল চাষীদের ঘর ,জমি।তাতেও থামলো না কোম্পানী। এবার কোম্পানি 1848 সালে লর্ড ডালহৌসি করলেন সত্ব বিলোপ নীতি এতে জমিদারদের গেলো জমিদারী।অনেক রাজ্যের গেলো রাজত্ব। গর্জে উঠল ঝাঁসির রানী লক্ষী বাই, নানা সাহেব, তাতিয়া টোপী। শুরু হলো বিদ্রোহ।
কোম্পানী জাত নষ্ট করানোর জন্য গরু ও শুকরের চর্বি মিশিয়ে তৈরি করলো কার্তুজ জ দাঁতে কেটে বন্দুক চালাতে হবে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে লাগলো
1857 সালের 29 সে মার্চ মঙ্গল পাণ্ডে। 8th আগস্ট ফাঁসি হলো তার। 10 th মে দেশ জুড়ে শুরু হলো সিপাহী বিদ্রোহ। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন। 1858 ভারতের বৃদ্ধ বাহাদুর শাহ কে সিংহাসচ্যুত করা হলো।ভারতে উড়লো ইংল্যান্ড এর পতাকা। রাণী ভিক্টোরিয়া হলো ভারতের সম্রাঞ্জী। ভিক্টোরিয়া ফরমান জারি করেন ভারত তার শাসনে। খাতায় কলমে ভারত হয়ে গেলো ইংরেজের রাজত্ব।এরপর ইংরেজ সাহেব রা নীল চাষ করতে বাধ্য করলো চাষীদের। চাষীদের মাথায় পরলো বাজ ভেঙ্গে।খাবার ধান যাঁদের জোট না তারা নীল চাষ করে ভুখা মরতে লাগলো।1859 এ শুরু হলো নীল বিদ্রোহ।কলম ধরলেন দীনবন্ধু মিত্র।লিখলেন " নীলদর্পণ" 1860 সালে।হিন্দু পেট্রায়টে কলম ধরলো হরিশ চ্যাটার্জি।1860 সালে বসলো indigo কমিশন। এর পর নীলকর সাহেব দের অত্যাচার স্তিমিত হলো।1885 তে হলো National congress ।
মনমোহন বসু লিখলেন -
" দেশে তাতি কর্মকার,করে হাহাকার
সুতা , জাতা ঠেলে অন্ন মেলা ভার।...
আমাদের দেশলাই কাঠি তাও আসে পোতে,
খেতে শুতে বসতে প্রদীপ জ্বালাতে -
কিছুতে লোক নয় স্বাধীন।"
1909 লর্ড কার্জন অন্য চাল চলাল বাংলার মানুষ কে আলাদা করতে বঙ্গভঙ্গ।বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে উত্তাল হলো সমগ্র দেশ। শুরু হলো স্বদেশী আন্দোলন ।বিদেশি দ্রব্য,বস্ত্র বর্জন হতে থাকলো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখলেন গান - " বাংলার মাটি বাংলার জল , বাংলার বায়ু বাংলার ফল"।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় লিখলেন - " ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।"
নব্য তরুণের দল হতে তুলে নিলো বোমা,বন্দুক,।ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি দেশের জন্য প্রাণ দিলেন।ক্ষুদিরাম আর হলো ফাঁসি র প্রফুল্ল হলো দ্বীপান্তর।
পরাধীনতার গ্লানি যখন সারা দেশ জুড়ে তখন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এলো মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী যিনি অহিংসার বাণী প্রচার করলেন। বাল গঙ্গাধর তিলক বললেন - " স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার,এই অধিকার আমি আদায় করবই" । গান্ধীজি জাতীয় ,ধর্ম,বর্ণ ,নির্বিশেষে ঘোষণা করলেন হিন্দু ,মুসলিম কে এক করে অগ্রসর হলেন স্বাধীনতার দিকে। 1913 সাল 19 th এপ্রিল ঘটলো জালিয়ানোলাবাগের হত্যা কান্ড।
সে সময় প্রচুর মানুষ মারা যায়।এর প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংরেজ দের দেওয়া সন্মান সূচক নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।1920 গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন করলেন।সে সময় তিনি পাশে পেলেন মতিলাল লেহেরু, জওহরলাল নেহেরু, বাল গঙ্গাধর তিলক,বিপিন চন্দ্র পাল।1923 মতিলাল নেহেরু আর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস গঠন করলেন স্বরাজ দল।
এতে এসে যুক্ত হলো এক 25 বছরের যুবক আইসিএস পাস করা সুভাষ চন্দ্র বসু।তিনি গান্ধীজির অহিংস নীতি মেনে নিতে পারলেন না।গান্ধীজি বলেছিলেন -
" যুদ্ধ নয় শান্তি চাই" ।
সুভাষ চন্দ্র বোস বললেন -
" তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা এনে দেবো।"
আপামর জনসাধারণ মনে পেলো কিছুটা শান্তি।
কাজী নজরুল ইসলাম লিখলেন - " দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার।
লংহিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুশিয়ার।"
স্বাধীনতা লাভের প্রথম আত্ম প্রকাশ হয় বাঙালির সাহিত্যে। কাব্যে,গানে,নাটকে,প্রবন্ধে,বঙ্গ রচনা তে।জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমচন্দ্রবন্দ্যোপাধ্যায় ,নবীন চন্দ্র ব বন্দোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ' পথের দাবী ' এগুলি সবই স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে আসে।
সে সময় ' স্বাধীনতা হিনতায় কে বাঁচিতে চায় হে কে বাঁচিতে চায় '
সকলের মুখে মুখে প্রচারিত।
1928 সে এলো সাইমন কমিশন।এই কমিশনের কথা সকলে মেনে নিতে পারে নি। এর পর হলো লালা লাজপত রায়ের মৃত্যু।ভগৎ সিং বলেন - " যেই ইংরেজ সরকার লালা লাজপত রায় এর মিত্যুর জন্য দায়ী সেই প্রতিশোধ আমরা নেবই "।
21 বছর বয়সে ফাঁসি হলো ভগৎ সিং এর।
মাস্টার দা সূর্য সেন এর নেতৃত্বে চট্ট গ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন করা হলো তের সাথী হলেন গণেশ ঘোষ,প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, মতঙ্গিনি হাজরা আরো অনেকে।কিন্তু দলের একজনের বিশ্বাস ঘাতকতা করাই ধরা পড়লেন মাস্টার দা।অন্য দিকে solt taks এর বিরুদ্ধে লড়াই করলেন গান্ধীজি । লবন আমাদের ভারতীয় দের সব সময় দরকার তাই তিনি 50000 লোক নিয়ে গুজরাটের ডান্ডি তে অভিযান করেন।
1935 এ গান্ধীজির সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগদান করেছেন সুভাষ চন্দ্র বসু র খান আব্দুল গাফফার খান।পুরুষের সাথেই কাধে কাধ মিলিয়ে সরোজিনী নাইডু, পদ্দাজনী নাইডু আরো অনেক মেয়ে এগিয়ে এলেন।1937 সে সুভাষ চন্দ্র বসু গান্ধীজী র অহিংস মত মেনে নিতে পারলেন না তাই তিনি গঠন করলেন1939 এ ফরওয়াড ব্লক ।তিনি দেশের জন্য স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চাইলেন।
1940 সে তিনি গ্রেফতার হলেন ।তারপর 1941 সে আলগিন রোডের বাড়িতে পুলিশি নজর এড়িয়ে পৌঁছে গেলেন মস্কো কবুল হয়ে জাপানে।সেখানে তিনি রাসবিহারী বসুর সঙ্গে গঠন করলেন ইন্ডিয়ান নেশনাল আর্মি ( আজাদ হিন্দ ফৌজ)।1941 সে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ যখন ইনল্যান্ড এর বিরুদ্ধে ঘোষণা করলো জার্মানি।তিনি চাইলেন তাদের সহায়তায় ইনল্যান্ড কে আক্রমণ করতে।
1942 সে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সারা দেশ উত্তাল। হাজার হাজার মানুষ জীবন গেলো।গান্ধীজি বললেন - ' করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে ' । এই আন্দোলন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছিল।
1945 সালে আজাদ হিন্দ ফৌজ কহিমা পর্যন্ত অগ্রসর হয়।সেখানে ব্রিটিশের সামনে বিপর্যয়ের সামনে পড়ে।1948 সালের 3 রা জুন নেতাজির বিমানে আগুন লাগে। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর কোনো খোঁজ মেলে না।এক রহস্যের সৃষ্টি হয়।সারাদেশে চলে বিদ্রোহ মুম্বাই ,তমলুক, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহের আগুন। 1947 এর গড়ার দিকে ইংরেজ বুঝতে পারে তাদের আর এদেশে থাকার উপায় নাই। তবে যাবার আগে তারা বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করে যাই । যার পরিণাম আজকের ভারত র পাকিস্তান।এই সমস্যায় হাজারো মানুষ প্রাণ হারায়।ঘর ছাড়া হয়।1947 এর 15 আগস্ট স্বাধীন হয় আমাদের ভারতবর্ষ।পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে প্রাণ হারায় কত সহস্র বিপ্লবী।তাদের রক্তে রাঙানো এই বাংলা আমাদের দেশের মাটি।
স্বাধীনতার73 বছর পরে দাড়িয়ে কেনো আজও মনে হয় আমরা স্বাধীন নয়।সেদিন ছিলো ইংরেজ দের শাসন আর আজকের দিনে পুঁজিপতিদের।সাধারণ মানুষের জীবন একই রখম থেকে গেছে।আজ দেশে বেকার সমস্যা । লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ে শিক্ষিত হয়েও মিলছে না কাজ।বেড়েছে চুরি,ডাকাতি,মানুষ অন্ন পাচ্ছে না।আজও নিগৃহীত হতে হয় নারী কে।আজও পাই না তারা সম অধিকার।পথে ঘাটে খুন,ধর্ষণ লেগে চলেছে।
সত্যি বলতে গেলে তাকে হতে হয় নির্যাতনের শিকার। মা নিজের সন্তানের কাছে থাকলেও তাকে ছেলেধরা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
তাই এই করোনা আবহে দেশ জুড়ে প্রেমেন্দ্র মিত্রের কবিতা প্রযোজ্য - " নগরের পথে পথে দেখেছো অদ্ভুত এক জীব।"
(ফ্যান কবিতা)
বিমল চন্দ্র সেনের' ক্ষুদা' কবিতা - " ক্ষুদা কে তোমরা বেআইনি করেছো।"
2 মন্তব্যসমূহ
Good��
উত্তরমুছুনVery nice di
উত্তরমুছুনThank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊