দির্ঘদিনের সেতুর দাবি পূরণ হয়নি আজও,সাপ্টিবাড়ীর কয়েক হাজার মানুষের সুটুঙ্গা নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌকা
নিজস্ব প্রতিনিধি,ময়নাগুড়ি :
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানার প্রান্তিক গ্রাম সাপ্টিবাড়ী ২ ।জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়ে বেয়ে চলেছে সুটুঙ্গা নদী। দির্ঘদিন থেকে সুটুঙ্গা নদীর দোমুখার পাড়ে পাকা সেতুর দাবি করে আসছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা । কিন্তু আজও সেই দাবি অধরাই রয়ে গেছে তাদের ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোট আসলেই প্রতিশ্রুতি মিলে নেতানেত্রীদের মুখে, ভোট চলে গেলে প্রতিশ্রুতিও ভুলে যায় । ভারী বর্ষণে নৌকা করে এবং বাকি দিনগুলি বাঁশের সাঁকোর উপর ভর করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয় তাদের। আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশন জারি করল সাধারণ নির্বাচন ও উপ নির্বাচনের একাধিক নয়া নিয়ম
কবে পূরণ হবে তাদের সেই দাবি? আশায় আজও রয়েছেন ওই এলাকার কয়েক হাজার গ্রামবাসী । পাশাপাশি তারা জানান, প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদেও লিখিতভাবে সেতুর দাবি জানানো হয়েছে । কিন্তু সেই দাবি আজও পূরণ হয়নি ।
সাপ্টিবাড়ি ২ নং অঞ্চলের আলসিয়ার মোড় সংলগ্নের ওই নদী পূর্ব বারোঘরিয়া এলাকার ধারাইকুড়ি ও শৌলি নদী মিলিত হয়ে সুটুঙ্গা নদীর সৃষ্টি হয়েছে । যা স্থানীয়দের কাছে দোমুখার পাড় নামে পরিচিত । অপরদিকে দোমুখা নদীই একমাত্র ভরসা ভোটের বাড়ি , গিদালের বাড়ি , ছিলিমখাওয়ার ডাঙা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দাদের। কারণ সুটুঙ্গা নদী বা দোমুখা নদী পাড় হয়ে তাদের
শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও হাটবাজারের জন্য দুই কিলোমিটার অতিক্রম করে কুচবিহার জেলার রানীরহাটে যেতে হয়। অপরদিকে ময়নাগুড়ি যেতে হলে তাদের পনেরো কিলোমিটার অতিক্রম করতে হয়। তাই তারা কোচবিহারের রানীরহাটকেই বেছে নিয়েছে।
দোমুখা নদী পারাপারের জন্য দির্ঘদিনের সেতুর দাবি পূরণ না হওয়ায় নদী পারাপার করার জন্য তাদের বাঁশের সাঁকো ও নৌকার উপর ভরসা করতে হয় । প্রতিবছর বর্ষার শুরুতেই দুই নদীর মিলিত জলে দোমুখার পাড়ের বাঁশের সাঁকো ভেসে যায় । এবং যার ফলে বর্ষার কয়েকটা মাস ওই এলাকার মানুষদের সাইকেল , বাইক ও মালপত্র নৌকায় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয় । যার ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের। তাই সেখানকার স্থানীয়রা অবিলম্বে দোমুখার পাড়ে একটি পাকা সেতুর দাবি জানিয়েছেন । তাদের পাকা সেতুর দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে তারা ভোট বয়কটের হুমকিও দিয়েছেন।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রেনুকা রায় বলেন, 'নদীর ওপারে রয়েছে কোচবিহার জেলার রানিরহাট বাজার ও আলোকঝাড়ী স্কুল। তাই এই এলাকার মানুষ হাট বাজার , শিক্ষা , স্বাস্থ্য সহ সমস্ত ব্যাপারে নদী পার হয়ে ওপারে যায় । অনেক সময় দোমুখার পাড়ে সেতুর অভাবে ভারী বৃষ্টিতে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল বন্ধ হয়ে যায় , তারা পরীক্ষা দিতে যেতে পারে না। এখানকার মানুষদের অনেক কষ্ট করে কৃষি পণ্য নিয়ে রানীরহাট বাজারে যেতে হয়। তাই সেখানে একটি স্থায়ী পাকা সেতু হওয়া খুবই দরকার ।'
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊