ছবিতে জংলা ড্রেস পরা অফিসার কুতুবউদ্দিন।

সংক্রমণের ভয় উড়িয়ে মানবতার নজির গড়ল কুতুবউদ্দিন 

কয়েকদিন আগেই এক করোনা আক্রান্ত মহিলার মৃত্যু হয় আলিপুরদুয়ারে। ওই মহিলার বাসস্থানের নিকটবর্তী কবর স্থান জলে ডুবে যাওয়ায় পাশের অপর একটি কবর স্থানে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হলে স্থানীয় মসজিদ কমিটি দাফনের জন্য সম্মতি দিলেও বাঁধ সাধে গ্রামবাসীরা। 


গ্রামবাসীরা বাঁধ সাধলে আসরে নামেন কুতুবউদ্দিন ও আলিপুরদুয়ারের এসডিও । তাঁদের প্রচেষ্টায় অনেক বোঝানোর পরে গ্রামবাসীরা দাফনে সম্মতি দিলেও দাফন করার মতো মানুষ ছিল না কেউই। অবশেষে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন কুতুবউদ্দিন। লাশ পৌঁছে দিতে আসা সরকারি মানুষজনের সাথে দাফনে হাত লাগান তিনিও।  সম্পূর্ণ করেন কবর দেওয়ার কাজ। 

কি ভাবছেন প্রোটেকশন ছিল? না ছিল না। একমাত্র ভরসা ছিল মাস্ক ও গ্লাভস। ছিল না পিপিই কিট। ভরসা ছিল কর্তব্যবোধ।

কুতুবউদ্দিন প্রমাণ করলেন আতঙ্ক নয় , সতর্কতা প্রয়োজন ।


একাধিক পুলিশকর্মী যেখানে করোনার সাথে লড়াই করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করছেন, সেখানে কুতুবুদ্দিনের মতন অফিসারের এই সাহসী পদক্ষেপ ইতিমধ্যে স্যোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।