বিলেতে এবার নিলামে উঠতে চলেছে মহাত্মা গান্ধীর চশমা

লন্ডনের অকশন হাউসের লেটার বক্সে মিলল মহাত্মা গান্ধীর চশমা১৯ শতকে কেউ একজন সোনার জল করা এই চশমাটি গান্ধীজিকে উপহার দিয়েছিলেন। সম্প্রতি দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের হ্যানহ্যামের ইস্ট ব্রিস্টল অকশন সেন্টারের লেটারবক্সে খামা মুড়ে কেউ চশমাটি রেখে যায়। সঙ্গে একটি চিঠিও ছিল। যিনি চশমাটি দিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর কাছে এই তথ্য ছিল না যে ওই চশমার ভূতপূর্ব মালিক মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধী। যাইহোক পরবর্তিতে সেই খবর পেয়ে ওই ব্যক্তির চোখ তো কপালে উঠেছে প্রায়। বিলেতে এবার নিলামে উঠতে চলেছে মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) সেই চশমা। আগামী ২১ আগস্ট দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের হ্যানহ্যামের ইস্ট ব্রিস্টল অকশন সেন্টারেই বসবে এই নিলাম।

আগামী ২১ তারিখ নিলাম উপলক্ষে আন্দাজ করা যায় গান্ধীজির চশমার মূল্য উঠতে পারে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ ৮০ হাজার থেকে ১৪ লাখ ৬৮ হাজার। ইতিমধ্যেই অনলাইন নিলামে এই চশমার দাম উঠেছে ৬ হাজার পাউন্ড। ভারতীয় কয়েকজন ক্রেতাও গান্ধীর চশমার নিলামে আগ্রহী হয়েছেন বলে খবর। ২১ তারিখ এই ঐতিহাসিক চশমার কত মূল্য ওঠে, এখন সেটাই দেখার। 


জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডের এক প্রবীণ ব্যক্তির কাছে চশমাটি ছিল। সেই ব্যক্তির বাবা মারা যাওয়ার আগে ছেলেকে চশমাটি দিয়ে যান। তিনি বলেছিলেন, তাঁর ভাই অর্থা ওই প্রবীণ ব্যক্তির কাকুকে কেউ চশমাটি উপহার হিসেবে দেন যখন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের হয়ে কাজ করতেন। এই প্রসঙ্গে ইস্ট ব্রিস্টল অকশনস-এর সঙ্গে যুক্ত অ্যান্ডি স্টো মনে করেন, ১৯১০-এর শেষের থেকে ১৯২০ সালের প্রথম দিকে মহাত্মা গান্ধী চশমা পরা শুরু করেন। ফলে এই চশমাটি তাঁর প্রথম জীবনের চশমা। আর ওই প্রবীণ ব্যক্তির কাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের কর্মী ছিলেন ১৯১০ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যের কোনও এক সময়ে। তখনই তিনি গান্ধীজির থেকে চশমাটি উপহার পেয়ে থাকতে পারেন। গান্ধীজি সাধারণত সেই সব মানুষকেই এমন প্রয়োজনীয় জিনিস উপহার হিসেবে দিতেন, যাঁর সেই জিনিসটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অথবা যিনি একদা গান্ধীজিকে কোনও কারণে সাহায্য করেছিলেন, তিনিও মহাত্মার তরফে এমন উপহার পেতে পারেন।

এভাবেই হয়তো সোনার জল করা চশমাটি ব্রিটেনে এসে পৌঁছায়। সে যাইহোক চশমা পাওয়ার নেপথ্যে য়ে এত আকর্ষণীয় একটি গল্প জুড়ে থাকবে কেই বা জানতো। ইতিমধ্যেই গল্প শুনে গান্ধীজির ঐতিহাসিক চশমা কিনতে অনেকেই উত্‍সাহী হয়েছেন বলে খবর।

সুত্রঃ লেটেস্ট লি