আজ আপার প্রাইমারির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ডি আই কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সম্পাদক আনিসুর রহমান জানান- "৮ ই জুলাই আলিপুরদুয়ার জেলা DI অফিস ডেপুটেশন প্রদান করা হয়, ১০ জুলাই কোচবিহার জেলা DI অফিস প্রদান করা হয়,আজ ১৪ জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুর DI অফিস ডেপুটেশন দেওয়া হয়, অতি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার দাবিতে। আগামী ১৫ জুলাই মধ্যে বাকি জেলা DI অফিস অতি দ্রুত আপার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দাবিতে ডেপুটেশন প্রদান করা হবে।" 

সহ সম্পাদক অতনু ঘোষ বলেছেন- "আমরা দীর্ঘ ৭ বছরের অবহেলা ও বঞ্চনার শিকারগ্রস্ত বঞ্চিত ও শােষিত " আপার প্রাইমারী চাকরি প্রার্থী " যাদের প্রতিটি মুহূর্ত যন্ত্রণায় বিদ্ধ ও খাঁচায় বন্দী। নিজেদের ভালােবাসার বিচরণভূমি বিদ্যালয় কে ভালােবেসে ও পরম নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের জানা বিষয় গুলাে স্নেহের ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অথচ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তাদের অপেক্ষার প্রহর সমাপ্তির মুখ দেখছে না । তাদের এই দীর্ঘ অপেক্ষা শুধু নিজেদের আজন্ম লালিত শিক্ষকতার স্বপ্ন কে বাস্তবায়িত করাই নয় বরং সেইসঙ্গে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার হাল ধরতে তারা বদ্ধপরিকর।" 

আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন দিনের পর দিন জোরদার হচ্ছে। একের পর এক রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিধায়ক, সাংসদ, মহকুমা শাসক, জেলা শাসককের নিকট ডেপুটেশন দিয়ে তাঁদের সাত বছরের বঞ্চনার ব্যাথা সরকারের কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্রতী হয়েছে। আপার প্রাইমারী প্রার্থীরা দাবী তুলেছে " 31 শে জুলাই এর মধ্যে নিয়ােগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।"

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফর্ম পূরণ শুরু করে দীর্ঘ সাত বছর অতিক্রম হলেও সম্পন্ন হয়নি নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর মাঝেই বহু পরীক্ষার্থী হতাশায় অন্যপথ বেছে নিয়েছে আবার বহু পরীক্ষার্থী এই আশায় বসে রয়েছে। এদিন, উত্তর দিনাজপুর জেলার আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের পক্ষ থেকে বিধায়ককে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দেন। পাশাপাশি, এদিন বিধায়কের হাত দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দ্রুত কেস নিস্পত্তি করে গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আবেদন জানিয়ে একটি পত্র প্রদান করা হয়। 


তাঁদের কথায়, দীর্ঘ সাত বছর ধরে সহ্য করে আসা নারকীয় যন্ত্রনা, অসহায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ করে সমস্যার সমাধান করা হোক। সব ধরনের যোগ্যতা থাকা সত্বেও চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগতে ভুগতে অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এমনকি তাঁরা এও জানায়, সমস্যার সমাধান না হলে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য তাঁরা আন্দোলনের পথে যেতেও প্রস্তুত। 

প্রতিটি ডেপুটেশনে আপার প্রাইমারি সংক্রান্ত বৃত্তান্ত উল্লেখ করেছেন তাঁরা। বৃত্তান্ত- 
  • ২০১৪ - বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আবেদন জমাকরন 
  • ২০১৫- পরীক্ষা গ্রহন 
  • ২০১৬- লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ 
  • ২০১৮ - ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন 
  • ২০১৯- ইন্টারভিউ গ্রহণ ও মেরিটলিস্ট প্রকাশ পর্যন্ত নিয়োগ অসম্পূর্ণ