বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় রবিবার দুপুরে জানিয়েছে, ভারত-নির্মিত কোভ্যাকসিন এবং জাইকভ-ডি সহ বিশ্বব্যাপী মানবিক ক্লিনিকাল পরীক্ষায় বর্তমানে ১১ টি COVID-19 ভ্যাকসিন এর মধ্যে কোনটিই ব্যাপক ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে শুক্রবার বলা হয়, ১৫ অগাস্টের মধ্যে ভারতের বাজারে আসতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন। তার জন্য মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান সব কটা ট্রায়ালও সেরে ফেলবে বলে জানানো হয়েছিল।
অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস ও ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সস-এর মতো সংস্থাগুলি এই বিবৃতিতে মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি। বিজ্ঞানীরা বলেন, এত তাড়াহুড়ো করে করোনা টিকা বাজারে আনলে সমস্যা হতে পারে। কারণ স্বাভাবিক ভাবে ট্রায়াল সারতেই ১২ থেকে ১৮ মাস লেগে যায়। সেখানে এত দ্রুত করাটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ।
এদিকে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে দিল, কোনও ভাবেই এ বছর জনতার ব্যবহারের জন্য করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব নয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "পুনের আইসিএমআর ইনস্টিটিউশান ন্যাশনাল ইন্সটিউট অফ ভাইরোলজি, হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার মলিকিউলার বায়োলজি এবং ছ'টি ভারতীয় কোম্পানি মিলে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। বিশ্বের বহু ভ্যাকসিনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে কোভ্যাক্সিন এবং জিকোভ-ডি নামক ভারতের দুটি ভ্যকসিন হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য গিয়েছে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই ২০২১ সালের আগে এই ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে আনা সম্ভব নয়।"
এই মর্মে বিবৃতি দেওয়ার পরেই তা প্রত্যাহার করে নিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। আজ প্রেস ইনফরমেশ ব্যুরোর ওয়েবসাইটে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার সেই লেখায় বদল আনা হয়। প্রথমে লেখা হয়েছিল, ‘২০২১-এর আগে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না।’ পরে এই অংশটি বাদ দেওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊