ডিমের খোলসের ওপর পেনসিল দিয়ে এডওয়ার্ড থমাসের লেখা "দ্য আউল",উইলিয়াম ওয়ার্ডস্ওর্থ-এর লেখা "দ্য সলিটারী রিপার" এবং ক্রিস্টিনা রোসেটি'র "আপ হিল" তিনটি কবিতা লিখে  'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-এ নাম উঠলো সপ্তপর্ণির




নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ার ঃ 

কারাতে-তে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে খ্যাতি রয়েছে তার।কারাতে অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া'র (KAI) উত্তরবঙ্গের প্রথম মহিলা রেফারি 'এ' হয়েছে সে। এবার 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-তে নিজের নাম নথিভুক্ত করে ফের আলিপুরদুয়ারের নাম উজ্জ্বল করল সপ্তপর্নি চক্রবর্তী।এক্ষেত্রে অবশ্য কারাতে নিয়ে নয় বরং শিল্পকলার জন্য।

ডিমের খোলসে  পেনসিল দিয়ে তিন তিনটে ইংরেজি কবিতা লিখে এই কীর্তি স্থাপন করল সে।এডওয়ার্ড থমাসের লেখা "দ্য আউল",উইলিয়াম ওয়ার্ডস্ওর্থ-এর লেখা "দ্য সলিটারী রিপার" এবং ক্রিস্টিনা রোসেটি'র "আপ হিল" এই কবিতা তিনটি একটি ডিমের খোসার ওপর লিখেছে সপ্তপর্নি চক্রবর্তী। তাও আবার খালি চোখে,কোন বিবর্ধক কাঁচ (Magnifying Glass) ছাড়া। শুধুমাত্র একটি পেন্সিলের সাহায্যে আলতো করে কবিতা গুলো লিখেছে সে,যাতে ডিমের খোলসে চাপ পরে সেটি ফেঁটে না যায়।

কারাতে নিয়ে ওঁর পরিচিতি থাকলেও শৈল্পিক স্বত্তাটাও যে ছিল ছোট থেকেই তা জানায় সপ্তপর্নির মা সম্পা চক্রবর্তী। সকলে যা করে তার বিপরীতটাই করা তার স্বভাব বলে জানায় সপ্তপর্নি।

সপ্তপর্নি জানায়,"আঁকিবুকির চেয়ে ছোট ছোট জিনিস দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করাই আমার নেশা।অজানাকে খুঁজতে আমার খুব ভালো লাগে।" 

অবশ্য ডিমের খোলসের ওপরে লেখাটা কখনোই সে 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস' বা অন্য কোথাও পাঠাবে এমন ভাবনা ছিলনা তার বলেই জানায় সপ্তপর্নি।"ডিমের খোলসের ওপর কবিতাগুলো লিখে আমি মায়ের হাতে দেই।উনি সেটি শোকেসে সাজিয়ে রেখেছিল।অনিক মানে আমার স্বামী ওটা দেখে এবং আমায় না জানিয়েই সেটা 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-এ পাঠিয়ে দেয়।সম্পূর্ণ বিষয়টি আমি জানতাম না।ওখান থেকে যখন পাল্টা ই-মেল আসে তখন ও আমায় জানায়।তারপর বাকি যা যা করণীয় সেগুলো করি।", বলে জানায় সপ্তপর্নি।

'ম্যাক্সিমাম পোয়েমস রিটেন অন এ এগশেল' এই শিরোনামে রেকর্ড বুকে স্থান পেয়েছে সপ্তপর্নি'র কীর্তি। এই সন্মান পেয়ে স্বভাবতই খুশি সপ্তপর্নি ও তার পরিবার।আগামীতে হাতের কাজের পাশাপাশি কারাতে-তে অভিনব কিছু কাজ করে 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-তে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানায় সে।

দেখুন কি বলছে সপ্তপর্ণি--