শচীন পাল, ঝাড়গ্রাম:  স্বপ্ন ছিল SSC পরীক্ষা পাশ করে শিক্ষক হওয়ার। সেই আশায় তাঁরা নিয়েছিল বাধ্যতামূলক বিএড ট্রেনিং। কিন্তু সরকারের দুর্নীতি ও নানা কারনে নিয়গ তো দূরঅস্ত, হচ্ছেনা পরীক্ষাই। আর তাই পশ্চিম মেদিনীপুর এর পর প্রতিবেশী জেলা ঝাড়গ্রামের বি.এড পাশ বেকার যুবক যুবতীরা তাই বসে থাকতে পারলেন না। ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে নতুন এসএসসি র মাধ্যমে নবম - দ্বাদশ  শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, এই মর্মে  সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলার জেলা শিক্ষাদপ্তরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) ডেপুটেশন দিল পশ্চিমবঙ্গ এসএলএসটি ক্যান্ডিডেট অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল টিচারস জব ক্যান্ডিডেট অ্যাসোসিয়েশন। 


সংগঠনের তরফে কয়েক দফা দাবী সহ স্মারকলিপি ডেপুটেশন কর্মসূচির মাধ্যমে জমা দেওয়া হলো মিছিল সহকারে। শিক্ষক হতে চাওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে অরণ্যশহরের বুকে মিছিলে পা মেলালেন প্রায় চল্লিশ জন বেকার যুবক যুবতী। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশের সহযোগিতায় শহরের রবীন্দ্র পার্ক থেকে শুরু হয়ে ঝাড়গ্রাম জেলাশহরের হৃৎপিণ্ড পাঁচমাথার মোড় পেরিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর পর্যন্ত এই প্রতিবাদী পদযাত্রায়  সদস্যদের হাতে ছিলো প্ল্যাকার্ড, স্লোগান উঠলো - "বিনামূল্যে চাইনা রেশন, চাকরী চাই সঙ্গে বেতন।"


 সংগঠনের মূল দাবি গুলি হলোঃ 
১) ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে নবম - দ্বাদশ নতুন করে  বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে,
২) সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত প্যানেল করতে হবে,
৩) প্রতিবছর এসএসসি নিতে হবে,
৪) আনঅফিসিয়াল গেজেটিয়ারটি পর্যালোচনা করে শুধুমাত্র বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা নিতে হবে MCQ সিস্টেমে,
৫) প্রতিটি পরীক্ষার্থীর জন্য কার্বন কপি এবং OMR  শীটের ব্যবস্থা করতে হবে,
৬) প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে।
৭) ২০২০ এর অগাস্ট এর মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, ২০২০ এর ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে৷

সংস্থার তরফে এদিনের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক সত্যজিৎ দাস, হিমাংশু দাস  এবং পাপিয়া দাস। ডি আই সাহেব বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো জানাবেন বলে সংগঠনকে আশ্বস্ত করেন। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত এই বিষয়ে সরকার কোনো সদর্থক পদক্ষেপ না নিলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন।