করোনা আবহের জেরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। তবে ফের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে আর পরীক্ষা না নিয়ে আজ প্রকাশ করা হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১২ মার্চ। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৭ মার্চ। কিন্তু করোনার আবহে ২৩, ২৫ এবং ২৭ মার্চের পরীক্ষাগুলি স্থগিত হয়ে যায়। উচ্চমাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৮৩। পাস করেছেন ৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৭ পরীক্ষার্থী।

সাংবাদিক বৈঠকে সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস জানালেন, ভাল রেজাল্ট করেছে কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কালিম্পং।

এবছর উচ্চমাধ্যমিকে রেকর্ড পাসের হার ৯০.১৩% । ছাত্রদের পাসের হার ৯০.৪৪%, ছাত্রীদের পাসের হার ৯০ শতাংশের বেশি। ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। ৮০ থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৭৪৬। গতবারের তুলনায় উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে ৩.৮৪%। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৮.৮৩%। উচ্চমাধ্যমিকে বাণিজ্য বিভাগে পাসের হার ৯২.২২%। উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগে পাসের হার ৮৮.৭৪%। উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯।

সিবিএসই, আইএসসি-র মতো প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা। দু’সপ্তাহ পর ৩১ জুলাই মার্কশিট দেওয়া হবে। ওই দিন দুপুর দুটোয় বিভিন্ন বিতরণ কেন্দ্র থেকে স্কুলগুলিকে মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে স্কুল থেকে মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবেন অভিভাবক কিংবা পরীক্ষার্থীরা।

কোনও পরীক্ষার্থী অসন্তুষ্ট থাকলে, ৩১ অগাস্টের মধ্যে স্ক্রুটিনি করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। স্ক্রুটিনির জন্য ৫০ টাকা, রিভিউয়ের জন্য ৭৫ টাকা।

এই নম্বর ব্যবস্থায় কোনও পরীক্ষার্থী অসন্তুষ্ট থাকলে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মিলবে পরীক্ষায় বসার সুযোগ। সেক্ষেত্রে, পরীক্ষায় পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বরই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।