কবে আসবে মারণ ভাইরাস করোনার প্রতিষেধক? কবে আবার স্বাভাবিক হবে জনজীবন? এগুলোই এখন লক্ষ কোটি টাকার প্রশ্ন, যদিও উত্তর জানা নেই কারও। গোটা বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানী-গবেষকের দল অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে ভ্যাকসিনের জন্য। যদিও গতকাল অক্সফোর্ড ইউনির্ভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরী "অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনকা" ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে মিলেছে সাফল্য, যা আসার এল দেখাচ্ছে। এদিকে রাশিয়াও দাবি করলো তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্যে তৈরি। 

মঙ্গলবার এক সাক্ষাত্কারে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুসলান স্যালিকভ বলেছেন, একদল স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল সোমবার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করেছে যাতে সকলেই করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে অনাক্রম্যতা গড়ে তুলেছে এবং সুস্থ আছে। তারপরই তিনি দাবি করেন যে প্রথম দেশীয় ইনোকুলেশন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। যদিও এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ঘোষণা এখনও হয়নি।


রাশিয়ার সেনাবাহিনী মস্কোর সরকার পরিচালিত গামালিয়া ইনস্টিটিউট এবং রাশিয়ার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ সংস্থার (RDIF) সাহায্যে একটি টিকা তৈরি করছে। RDIF প্রধান ক্যারিল দিমিত্রিভ গত সপ্তাহে বলেছিলেন, রাশিয়া, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের হাজার হাজার মানুষের পর এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল আগামী ৩ আগস্ট থেকে শুরু হবে এবং সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে এই ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু হতে পারে।