URBAN FOREST SCHEME TO DEVELOP 200 ‘NAGAR VAN’ ACROSS THE COUNTRY IN NEXT FIVE YEARS


"দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর
হে নবসভ্যতা! "- 'সভ্যতার প্রতি' কবিতায় কবিগুরু নবসভ্যতার কাছে অরণ্য ফিরিয়ে দেওয়া যে আহ্বান করেছিলেন বর্তমান শতক আজ তার আহ্বানের তাৎপর্য যেন মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে। গতকালবিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার বন বিভাগ, পৌরসংস্থা, এনজিও, বাণিজ্যক সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে আগামী পাঁচ বছরে সারা দেশে ২০০টি শহর বনাঞ্চলের বিকাশের জন্য ‘নগর বন’ প্রকল্প গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছে। 


কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রক আন্তর্জালিক মাধ্যমে এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করছে । এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের বিষয়-ভাবনার ওপর ভিত্তি করে শহরের বনাঞ্চলের বিকাশের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।


অনুষ্ঠানে শহরাঞ্চলের বন সম্পর্কে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে ‘নগর বন’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলেন, এই বনাঞ্চল শহরগুলির ফুসফুসের মতো কাজ করবে। প্রাথমিক ভাবে শহরে বনাঞ্চলের জায়গাগুলিতে অথবা স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া ফাঁকা জমিতে এই গাছগুলি লাগানো হবে। এ বছর 'প্রকৃতির জন্য সময়'এই বিষয়-ভাবনার মধ্যে ‘জীববৈচিত্র্য'র ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আমরা যদি প্রকৃতিকে রক্ষা করি, তবেই প্রকৃতি আমাদের রক্ষা করবে।”

ভারতীয় সংস্কৃতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জাভড়েকর বলেন, ভারত সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে গাছের উপাসনা করা হয়। এখানে প্রাণী, পাখি এবং সরীসৃপ পুজো করা হয়। এটিই পরিবেশের জন্য ভারতীয় সমাজের পক্ষ থেকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন। এই সম্মান প্রদর্শন আমরা যুগে যুগে করে আসছি। আমরা অতি প্রাচীনকাল থেকেই গ্রামীণ বনাঞ্চলের ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছি। শহরাঞ্চলে উদ্যান রয়েছে, তবে সেখানে বনাঞ্চল খুবই কম।।এখন শহুরে বনের জন্য এই নতুন প্রকল্পটি সেই শূণ্যস্থান পূরণে সাহায্য করবে। এই নগর বনাঞ্চল কর্মসূচি অতিরিক্ত কার্বন শোষণে সাহায্য করবে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বৃক্ষরোপণ এবং মাটির আর্দ্রতা রক্ষার পাশাপাশি দেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের মূল কৌশলগুলি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, মাটির অবক্ষয়, নদীতে পলি জমা সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

ভার্চ্যুয়াল জগতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মরুভূমি প্রসার রোধ অধিবেশনের (ইউএনসিসিডি) কার্যকরী অধিকর্তা ইব্রাহিম থিয়াও এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিবেশ বিষায়ক কর্মসূচি'র অধিকর্তা ইঙ্গার অ্যান্ডারসন।