• নজরদারি বাড়াতে হবে
  • যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে 
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে ও জনবসতি গড়ে তুলতে হবে 

গত ১৫ই জুন ভারত-চিন সীমান্তে ভারত-চিন সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষে শহীদ হন ২০ ভারতীয় সেনা। এরপরেই উত্তাল দেশ। সারা দেশ জুড়ে চলছে বিক্ষোভ। আর কত সহ্য করতে হবে বহিরাগত অনুপ্রবেশ ও আগ্রাসন। যেভাবেই হোক এর শেষ দেখতে চাইছে মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ও আগ্রাসন রুখতে সীমান্তে বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি তিনটি পন্থার কথা বলছেন। 
তিনটি পন্থা হল- 
  • নজরদারি, 
  • যোগাযোগ ও 
  • জনসংখ্যা।    
বিশেজ্ঞদের মতে, এই তিন পন্থায় উন্নতি করতে পারলে চিনের ওপর কর্তৃত্ব করতে পারবে ভারত।

নজরদারি

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন কোনও প্রকার কার্যকলাপ শুরু করছে কিনা তা নজর দিতে হবে। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে ভারত এই লড়াইয়ে একটা মজবুত জায়গা নিতে পারে। চিনা সেনার গতিবিধির ওপর নজরদারি চালাতে ভারত নাইট-ভিসন ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারে। পাশাপাশি, থার্মাল ইমেজিং প্রযুক্তি, মোশন সেন্সর ও ডিটেকশন রেডার এবং সিসমিক সেন্সরের ব্যবহার করতে পারে ভারতীয় সেনা। এর ফলে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন কোনও প্রকার কার্যকলাপ শুরু করলেই তা ধরা পড়বে। নজরদারির ফলে নিরাপত্তাবাহিনী সতর্ক থাকবে এবং যে কোনও সীমান্তপারে অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করা সম্ভব।যোগাযোগ

যোগাযোগ

সীমান্তে লড়াইকে শক্তিশালী করতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা বেশ জরুরী বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মনে করছে, বিশেষ করে অধিক উচ্চতায় ৫জি নেটওয়ার্ক প্রতিস্থাপন করা। যেখানে চীন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বেশ উন্নত, সেইদিক থেকে ভারত অনেকটা পিছিয়ে। ৫জি ব্যবস্থা চালু হলে, সীমান্তঞ্চলে বিমানবন্দর চালু ও তার রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত সহজ হবে। 

জনসংখ্যা

নজরদারি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে সাথে সীমান্ত এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে বলছে বিশেষজ্ঞরা। জন বসতি গড়ে তোলার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা। ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকা দখল করা সহজ হবে না চীনের। পাশাপাশি, ফাকা স্থান গুলোতে মানুষের জন সমাগম ঘটবে। বিদেশী পর্যটকরা আসবে সেক্ষেত্রে ভারত টুরিস্ট ভিসা দেবে আন্তর্জাতিক মহলে প্রমাণিত হবে যে, ওই এলাকা ভারতের দখলে রয়েছে।