করোনা আবহের মাঝে হাজির হয়েছে এক বিপদ। পঙ্গপালের হানা। সেই হানা থেকে রেহাই পেলো না দিল্লী। শনিবার সকালে গুরুগ্রামে হানা দেয় কোটি কোটি পঙ্গপালে৷ 

দুপুরেই কয়েক কোটি পঙ্গপাল হানা দিল দিল্লি৷ দক্ষিণ দিল্লির ছতরপুরেও হামলা চালায় পঙ্গপালের দল৷ মে মাসে পঙ্গপালের দল প্রথম হামলা চালায় রাজস্থানে৷ তারপর পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে৷ 

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৪ প্রজাতির পঙ্গপাল রয়েছে ভারতে৷ মরুভূমির পঙ্গপাল, পরিযায়ী পঙ্গপাল, বম্বে পঙ্গপাল ও গাছ পঙ্গপাল৷ এর মধ্যে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হল মরুভূমির পঙ্গপাল৷ রাজস্থান, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ এবং হরিয়ানার পরে মরুভূমির পঙ্গপালের বিশাল ঝাঁক পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের বহু অংশে ফসল ধ্বংস করে চলেছে। 



আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য (আরব দেশগুলি) এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় পঙ্গপাল অত্যন্ত পরিচিত একটি পতঙ্গ ৷ প্রতি ঘণ্টায় ওড়ে ১৬ থেকে ১৯ কিমি। একদিনের মধ্যে ২০০ কিমি পাড়ি দিতে পারে আনায়াসে ৷ আয়ু সাধারণত ৩-৫ মাস ৷ একটি ঝাঁকের একাংশ এক দিনে যা খায়, তা ১০টি হাতির খাবারের সমান! পঙ্গপালের আক্রমণের জেরে বহু দেশে মানুষ তার বসতি পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে। 

দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই গোটা দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করছেন৷ দিল্লির কৃষি দফতর বিশেষ অ্যাডভাইজারি ইস্যু করেছে৷ বন দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ডি জে, ঢোল, বাসন বাজিয়ে পঙ্গপালের দলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য৷ 

গুরুগ্রাম সংলগ্ন কৃষিজমিগুলিতে গিয়ে পরিস্থিতি দেখার জন্য কৃষি দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কৃষি মন্ত্রকের পঙ্গপাল সতর্কতা বিভাগের প্রধান কেএল গুর্জর জানিয়েছেন, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পঙ্গপালের দল গুরুগ্রামে ঢোকে৷ মুহূর্তের মধ্যে তারা ২ কিমি এলাকায় ছেয়ে যায়৷