শর্মিষ্ঠা সামন্তঃ 

বাসন্তী পুজোর প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই লক ডাউন ঘোষণার জেরে স্থগিত করতে হয় পুজো। খেজুরীর অন্যতম অগ্রনী ক্লাব দেউলপোতা গ্রাম্যগোষ্ঠী এই পুজোর আয়োজন করেছিল। লক ডাউনের জেরে ভেস্থে যাওয়ায় সমাজের অসহায় মানুষদের স্বার্থে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। সদস্য সদস্যারা প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ত্রান-সাহায্য দেয়। 



তারপরেও সন্তুষ্ট হয়নি, সামজের স্বার্থে সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়াতে আরও এক কদম বাড়িয়ে গাঁটছাড়া বাঁধে কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা "সোপান" এর সাথে। আর দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে হাসি ফোটানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। 



গত সপ্তাহ থেকে সোপান ও ক্লাব যোউথভাবে খেজুরী ১ং ব্লকের জাহানাবাদ, ঘোলাবাড়, কামারদা, দেউলপোতা, বাঁশগোড়া প্রভৃতি এলাকার ৩২০ জন জনের হাতে শুধুমাত্র খাদ্য সামগ্রীই দেয়নি,উপরন্তু চুন ও ফটকিরি প্রদানের মাধ্যমে এলাকার একাধিক পুকুর সংস্কার ও পানীয় জল জেনারেটর দিয়ে তোলার আর্থিক সাহায্যও করে।

ক্লাবের সম্পাদক তনুজ বেরা জানান," সুদিনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার নামই ক্লাব নয়, দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকার নামই ক্লাব।" 

"সোপান" এর কোর কমিটির সদস্য বিশ্বদীপ চ্যাটার্জি বলেন," আম্ফান পরবর্তী ধ্বংসলীলা খেজুরীকে যেভাবে বিধ্বস্ত করেছে, তাতে ক্লাবের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে আমরা পারিনি।" 

পুরো প্রজেক্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্লাব একজিকিউটিভ সদস্য রত্নদ্বীপ সামন্ত জানান," আমরা শুধু ১ং ব্লকেই কাজ করবো না, আগামী সপ্তাহ থেকে "সোপান" কে সঙ্গে নিয়ে, বাচ্চাদের জন্য দুধ,মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ২নং ব্লকেও পুরোদমে ঝাঁপাবো।"