ঘূর্ণিঝড় আমফানে তছনছ হয় রাজ্যের একাধিক এলাকা। বিশেষত বিপর্যস্ত হয় দক্ষিনবঙ্গ। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিলির উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। তবে ত্রাণ বণ্টনের শুরু থেকেই সেই ত্রাণ বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ তোলে রাজ্যের একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। বাম, কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিজেপি নেতারা শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগে সরব হন। এমনকি রাজ্যপালও একই অভিযোগ তুলে তোপ দাগেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

রাজ্যে ত্রাণ বণ্টনে স্বজনপোষণ চালাচ্ছে সরকার, এমনই অভিযোগ রাজ্যপালের। টুইট করে তিনি জানান, 'আমফানে ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজ্য সরকার নির্লজ্জের মতো দুর্নীতি চালাচ্ছে। শাসকদলের নেতা ঘনিষ্ঠরা ত্রাণ পাচ্ছেন। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ত্রাণ বিলিতে স্বজনপোষণ চলছে রাজ্যে।'

এদিকে খোদ খাদ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকায় চলছে এই ক্ষতিপূরনের টাকা নিয়ে তৃণমূলে তৃনমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ। হাবরা বিধানসভার প্রতিটি বুথেই চলছে এই ক্ষতিপূরনের টাকা পাওয়া নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ।

এদিনও হাবড়া পৌরসভার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেখা যায় সে চিত্র।  তৃনমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। কিছুসময় পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে  আনে। 

অন্যদিকে ত্রানবন্টণ নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দুর্নীতি নিয়ে কোনও রেয়াত করা হবে না। যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে পাঠানো নির্দেশে বলেছেন, আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। গোটা প্রক্রিয়া ২ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। ত্রাণ পাওয়া মানুষের নামের তালিকা বিডিও অফিসের বাইরে প্রকাশ্যে টাঙিয়ে রাখতেও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর নির্দেশিকা জারি করেছে।