করোনা বেশ কয়েকমাস ধরেই মাথা ব্যাথার মূল কারণ। দিনের পর দিন বেড়েই চলছে সংক্রমণের সংখ্যা। এদিকে এসেছে বর্ষা। যখন গ্রীষ্ম পড়েছিল তখন শোনা গিয়েছিল গ্রীষ্ম পড়ছে করোনার প্রকোপ কমবে। অতিতাপমাত্রা করোনাকে বাঁচতে দেবে না। কিন্তু তা হয়নি। বর্ষায় করোনা কমে যাবে এমন কোনও আশার কথা বলেননি গুলারিয়া। তবে বর্ষায় রোগ নির্ণয়ের ধরন পাল্টাবে। কারণ এই সময়টা ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়ার মত রোগ ব্যাপকহারে হয়। ফলে কোনটা করোনা আর কোনটা নয়, তা বুঝতে চিকিৎসকদের সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্ষা বা বৃষ্টির ফলে করোনা সংক্রমণে কোনও প্রভাব পড়বে না৷
কোনটা ভাল, হোম না ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারান্টাইন? এই প্রশ্নে এইমস ডিরেক্টর বলেছেন, প্রথমটা যদি একজন সংক্রমিত হন, আর দ্বিতীয়টা, পরিবারের বাকিদের জন্য। যদি অল্পস্বল্প লক্ষণ থাকে, তবে সম্ভব হলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকুন, যদি তেমন সুবিধে থাকে। এ জন্য দরকার আলাদা একটা ঘর আর অ্যাটাচড টয়লেট। পরিবারের একজনকে আপনার খেয়াল রাখতে হবে, আর পরিস্থিতি খারাপ হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার সুবিধা থাকতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় আপনাকে সে বিষয়েও নজর দিতে হবে। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, সংক্রমণ যেন আপনার থেকে অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সংক্রমিতকে আলাদা রাখার জায়গা নেই, তা সত্ত্বেও এক সঙ্গেই করোনা রোগীকে রাখা হচ্ছে। ফলে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা। দিল্লিতে এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে।
হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীকে কখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি? যদি শ্বাসকষ্ট দেখা যায়, বুকে ব্যথা বা অন্য ধরনের অস্বস্তি, ঘুম ঘুম ভাব, বাড়ির লোকের কথায় সাড়া দিতে পারছেন না, নখ বা ঠোঁটের রং নীলচে হতে শুরু করে, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাবার্তা বলুন। এর মানে শরীরে অক্সিজেন কমে যাচ্ছে আপনার।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊