পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় শহিদ হয়েছেন ২০ জন জওয়ান। যা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এর পর ও চিন ক্রমাগত ভারত কে চোখ রাঙিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ভারত চিনা প্রোডাক্ট বয়কট করে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চাইছে। দেশ জুড়েই চলছে এই প্রতিবাদ। এর মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিলো ভারত সরকার।

৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারত। চিনা জিনিস বয়কটের সঙ্গে সঙ্গে ‘ডিজিটাল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এর হুঙ্কার ও শুরু হয়ে গেলো।৫৯টি চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর এ বার 5G প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রসারের ক্ষেত্রে চিনা সামগ্রী, যন্ত্রাংশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার জারি করার ক্ষেত্রে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র।

জানা গিয়েছে, সোমবারের বৈঠকে ৫৯টি চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি 5G প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রসারের ক্ষেত্রে চিনা সংস্থা Huawei বা সে দেশের আরও বেশ কিছু সংস্থার থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, যন্ত্রাংশ কেনা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে 5G স্পেকট্রামের নিলাম কমপক্ষে এক বছরের মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে কোনও চিনা সংস্থাকে এর বরাত দেওয়া হবে কিনা, তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই 4G নেটওয়ার্কের উন্নতির কাজে কোনও ভাবেই আর চিনের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা যাবে না, BSNL-কে এমনই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের টেলিকম মন্ত্রক। সূত্রের খবর, MTNL-কেও একই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ওই নির্দেশ অনুযায়ী, এখন থেকে সমস্ত টেলিকম পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় সরঞ্জাম নিতে হবে দেশীয় সংস্থার থেকেই। তাই নতুন করে টেন্ডারও ডাকা হবে।

চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোটি কোটি ভারতীয় মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, এই ৫৯টি অ্যাপ দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, দেশের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর! সে জন্যই এই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করা হল। এ বার হয় তো একই কারণে 5G প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রসারের ক্ষেত্রে চিনা সামগ্রী, যন্ত্রাংশ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞার জারি করতে পারে কেন্দ্র।