Cabinet amends Essential Commodities Act, approves ordinance to ease barrier-free trade

১৯৪৩ সালে বাংলার দুর্ভিক্ষের সময় থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন জারি রয়েছে। যদিও ২০১৯-২০ সালের আর্থিক সমীক্ষায় এই আইনকে বর্তমান সময়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে আখ্যা দিয়ে এই আইন বর্জনের সুপারিশ করা হয় এবং ১৭ মে ক্রেতা, খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের তরফ থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনীর জন্য অর্ডিন্যান্স জারি করতে একটি খশড়া পেশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এতদিনের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের সংশোধনীতে সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর ফলে খাদ্যশস্য, খাদ্যবীজ, তৈলবীজ, পেঁয়াজ ও আলুর মত কৃষিপণ্যে বিনয়ন্ত্রণ হল। পাশাপাশি একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে, যার ফলে কৃষকরা প্রক্রিয়াকরণকারী, সংগ্রহকারী, বড় পাইকার, রফতানিকারকদের সঙ্গে নিজেরাই নিজেদের বন্দোবস্ত করতে পারবেন।


এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, "মন্ত্রিসভা এই অর্ডিন্যান্স পাশ করার মাধ্যমে কৃষিপণ্যের বাধাহীন বাণিজ্যের পথ খুলে দিয়েছে। এর ফলে কৃষকদের আর তাঁদের শস্য কেবলমাত্র জেলা বা তালুকের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির বাধ্যবাধকতা রইল না। অন্য আরেকটি অর্ডিন্যান্সের ফলে কৃষকরা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকারী, সংগ্রহকারী, বড় পাইকার, রফতানি কারকদের সঙ্গে একাসনে বসতে পারবেন, এবং তাঁদের আর কোনও শোষণের আশঙ্কাও থাকবে না।"


তিনি আরও বলেন, "এর ফলে ভারতের কৃষকদের যেমন সহায়তা হবে, তেমনই কৃষিক্ষেত্রেরও উন্নতি হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনী বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের অত্যধিক নিয়ামক নীতির বেড়াজালের আশঙ্কা থেকে মুক্তি মিলবে।"


অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে সংশোধনীর ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা খরার মত অতি ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ছাড়া কৃষিপণ্যের মজুতের ছাড় মিলবে। দেশের কৃষকদের ভাল দামও পায় যাবে।