সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ 

করোনার সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পড়তেই হবে। তাই মাস্ক নিয়ে fashion শুরু হয়ে গেছে। অনেকে তো পোশাকের সাথে ম্যাচিং মাস্ক ও পড়তে শুরু করেছেন। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বলতে গেলে, সাধারণ মাস্ক এক তরফা সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কিন্তু সাধারণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি কাপড়ের মাস্ক সংক্রমণ রুখতে কতটা কার্যকর সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

মূলত হাঁচি-কাশির সময় নির্গত অসংখ্য ড্রপলেটকে বাতাসে মেশা থেকে রোধ করে সাধারণ মাস্ক। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজন ত্রিস্তর মাস্কের। এই মাস্ক একাধারে যেমন হাঁচি-কাশির সময় নির্গত অসংখ্য ড্রপলেটকে আটকায়, তেমনই বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধূলিকণা, জীবানুকেও নাকে-মুখে ঢোকা রোধ করে। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে দুই তরফা সুরক্ষার কাজ করে। 

এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে ফেস মাস্ক নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। এই নির্দেশিকায় WHO জানিয়েছে, যে ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ কাপড়ের মাস্কে করোনার সংক্রমণ রোখা যাবে না। এ ক্ষেত্রে একমাত্র ত্রিস্তর বিশিষ্ট মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে WHO।

সাধারণ মাস্ক মূলত হাঁচি-কাশির সময় নির্গত অসংখ্য ড্রপলেটকে বাতাসে মেশা থেকে রোধ করে। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বলতে গেলে, সাধারণ মাস্ক এক তরফা সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কিন্তু ত্রিস্তর বিশিষ্ট মাস্ক বা রেসপিরেটর একাধারে যেমন হাঁচি-কাশির সময় নির্গত অসংখ্য ড্রপলেটকে আটকায়, তেমনই বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধূলিকণা, জীবানুকেও নাকে-মুখে ঢোকা রোধ করে। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে দুই তরফা সুরক্ষা বজায় রাখে।

করোনা আতঙ্কের আবহে N95 মাস্ক ও জনপ্রিয়। এটি ৯৫ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানুকে নাকে-মুখে ঢোকার হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।

N95-এর থেকে N99 বা FFP3 রেসপিরেটর প্রায় ৯৯ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানু রোধে সক্ষম। P-3 বা N100 রেসপিরেটর প্রায় ৯৯.৯৭ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানু রোধে সক্ষম।

সার্জিক্যাল মাস্ককে ঢিলেঢালা বা কম নিরাপদ বলে মনে হলেও পরীক্ষা করে জানি গিয়েছে, সাধারণ কাপড়ের মাস্ক যেখানে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানু রোধে সক্ষম সেখানে ত্রিস্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ধূলিকণা ও জীবানু রোধ করতে পারে। 

তাই স্টাইলের জন্য সাধারণ বাহারি মাস্ক নয় জীবাণু কে রুখতে ত্রিস্তর বিশিষ্ট মাস্ক ব্যাবহার করুন।