আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন দিনের পর দিন জোরদার হচ্ছে। একের পর এক রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিধায়ক, সাংসদ, মহকুমা শাসক, জেলা শাসককের নিকট ডেপুটেশন দিয়ে তাঁদের সাত বছরের বঞ্চনার ব্যাথা সরকারের কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্রতী হয়েছে। ধীরে সেই বঞ্চনা থেকে রেহাইইয়ের বার্তা মন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতেও চলছে একের পর এক পদক্ষেপ। 



২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফর্ম পূরণ শুরু করে দীর্ঘ সাত বছর অতিক্রম হলেও সম্পন্ন হয়নি নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর মাঝেই বহু পরীক্ষার্থী হতাশায় অন্যপথ বেছে নিয়েছে আবার বহু পরীক্ষার্থী এই আশায় বসে রয়েছে। এদিন, কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা এলাকার প্রার্থীরা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে তাঁদের দুঃখ, দুর্দশার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সদর্থক ভূমিকা নিতে একটি পত্র প্রদান করলেন। পাশাপাশি, এবিষয়েই একটি ডেপুটেশন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকেও দেন। 



তাঁদের কথায়, দীর্ঘ সাত বছর ধরে সহ্য করে আসা নারকীয় যন্ত্রনা, অসহায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ করে সমস্যার সমাধান করা হোক। সব ধরনের যোগ্যতা থাকা সত্বেও চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগতে ভুগতে অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এমনকি তাঁরা এও জানায়, সমস্যার সমাধান না হলে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য তাঁরা আন্দোলনের পথে যেতেও প্রস্তুত। 



প্রতিটি ডেপুটেশনে আপার প্রাইমারি সংক্রান্ত বৃত্তান্ত উল্লেখ করেছেন তাঁরা। বৃত্তান্ত- 
  • ২০১৪ - বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আবেদন জমাকরন 
  • ২০১৫- পরীক্ষা গ্রহন 
  • ২০১৬- লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ 
  • ২০১৮ - ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন 
  • ২০১৯- ইন্টারভিউ গ্রহণ ও মেরিটলিস্ট প্রকাশ পর্যন্ত নিয়োগ অসম্পূর্ণ