জল্পেশের ইতিহাসে এই প্রথম ! শ্রাবণ মাসে বাবার মাথায়  জল ঢালা থেকে বঞ্চিত হতে চলছে অগণিত ভক্ত 


SER-10, ময়নাগুড়ি, ৩০ জুন: জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের উত্তর ভূস্কাডাঙ্গার এই জল্পেশ মেলা গোটা রাজ্যেরই প্রাচীন মেলাগুলির মধ্যে অন্যতম। উত্তরবঙ্গের এই ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মেলা গোটা উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় এবং জলপাইগুড়ি জেলার সবথেকে বৃহত্তম মেলা হিসাবেও পরিচিত। প্রতিবছর ঐতিহ্যবাহী শ্রাবণী মেলায় লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়।

জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার বাদ দিয়েও নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য নিকটবর্তী রাজ্য সহ বিভিন্ন জেলার মানুষেরা এখানে আসেন বাবা শিবের মাথায় জল ঢালতে। অনেক ভক্তকে আবার তিস্তা নদীর ঘাট থেকে স্নান করে ১৫ কিমে হেঁটে জল্পেশ মন্দিরে আসতেও দেখা যায় । প্রত‍্যেক শ্রাবণ মাসের প্রথম রবিবার রাতভর হেঁটে সোমবার ভোরে শিবের মাথায় জল ঢেলে ফিরে যান পূর্ণার্থীরা।
প্রশাসন নিরাপত্তার জন্য গোটা মন্দির, মেলার মাঠ সহ মন্দিরের সংলগ্ন এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনে এবং মেলাকে সুষ্ঠ ভাবে সম্পূর্ণ করতে মে মাসেই বিভিন্ন বৈঠক করে মেলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে মন্দির কমিটি । শ্রাবণী মেলাকে কেন্দ্রে করে প্রায় ৫০০ মিটার জুড়ে বসে বিভিন্ন দোকান এবং বিভিন্ন ব‍্যবসায়ীকে তার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় এক মাস আগের থেকেই। কিন্তু এবার শ্রাবণী মেলা নিয়ে এখনও কোনও উদ্যোগই শুরু হয়নি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে । মেলা আদৌ হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা একটা থেকেই যাচ্ছে।

মন্দির কমিটি সূত্রে জানা যায়, আষাঢ় মাসের ২০ তারিখ গুরুপূর্ণিমা থেকে শ্রাবণী মেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু করোনা এবং লকডাউনের জেরে সবকিছু থমকে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এবারের মেলা বাতিল হতে পারে। কারণ লক্ষাধিক লোকের সমাগমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না।