করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্ব। দিনের পর দিন সারা দেশে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণের তালিকায় থেমে নেই পশ্চিমবঙ্গও। এমন পরিস্থিতিতে একদিকে বেঁচে থাকতে কাজ করা বাইরে বেরোনো জরুরী অন্যদিকে ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সচেতনতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী মাস্ক ব্যবহার করা বেশ জরুরী। পাশাপাশি, সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে চলতে হবে। মানতে হবে সরকারি সব নিয়ম কানুন। আর করোনার এই লড়াইয়ে অনবরত জীবনকে উপেক্ষা করে প্রথম সারিতে থেকে কাজ করে চলছেন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা, পুলিশ, দমকলকর্মী, পুরসভা কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা। 

করোনা-চিকিৎসায় ফ্রন্টলাইনে লড়ছেন যে স্বাস্থ্যকর্মীরা, পুলিশ, দমকলকর্মী, পুরসভা কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, স্কুল পড়ুয়া, ১০০ দিনের কাজের কর্মীদেরও মাস্ক বিতরণ করা হবে এই উদ্যোগের মাধ্যমেই। 

করোনার ভয়াল কোপ থেকে বাঁচতে জারি লক ডাউন থেকে বেড়িয়ে আনলক ওয়ান প্রযোজ্য হওয়ার পরও রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এমন পরিস্থিতিতে ৩ কোটি মাস্ক বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। 

এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একথা জানান।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানান, আমাদের স্বাস্থ্য ইনফ্রা কোভিড ১৯ মোকাবিলা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত, তবে আমরা ভাইরাস থেকে কার্যকর প্রতিরোধের জন্যও সমান জোর দিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব, নিরাপদ অনুশীলন এবং মাস্ক হ'ল এই মহামারীর সাথে লড়াই করার সর্বোত্তম উপায়। তবে আমরা অনুভব করি, মাস্ক সংগ্রহ করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। রাজ্য সরকার সিধান্ত নিয়ছে স্কুল পড়ুয়া, ১০০ দিনের কাজের কর্মী ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা, পুলিশ, দমকলকর্মী, পুরসভা কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মধ্যে ৩ কোটি মাস্ক বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।