পাঁচ চিকিত্‍সক কমিটির সুপারিশ মেনে রবিবার দিল্লির স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে এক বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল রবিবার ঘোষণা করেছিলেন, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের করোনা শয্যা শুধুমাত্র দিল্লিবাসীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এই ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক হয়। 

সেই সিদ্ধান্তই খারিজ করলেন লেফটেনান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। তাঁর দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, '‌কোনও রকম বিভাজন ছাড়াই দিল্লির হাসপাতালে সবাই সমান চিকিত্‍সা পাবেন। দিল্লিবাসী নয়, এই যুক্তি দেখিয়ে কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না।'‌

সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায়ে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যের অধিকার, জীবনের অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সংবিধানে তেমনই লেখা রয়েছে। তাই লেফটেনান্ট গভর্নরের বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে, দিল্লির সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনে পরিকাঠামো বদলে সব রোগীদের চিকিত্‍সা পরিষেবা দিতে হবে। 

এর পরেই সরকারি কাজে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠল লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে।

দিন দিন ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করছে করোনা। বাড়ছে যেমন সংক্রমণ তেমনই বাড়ছে মৃত্যুও।এমন পরিস্থিতিতে বাইরের রাজ্য থেকে রোগী দিল্লীতে চিকিৎসার জন্য গেলে স্থানীয়দের চিকিৎসা পরিষেবায় সমস্যা হতে পারে এই কথা মাথায় রেখেই পাঁচ চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত দিল্লি সরকারের বিশেষ কমিটির পরামর্শে দিল্লিবাসীর জন্য বেড সংরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। 

দিল্লির সরকারি হাসপাতালগুলি সংরক্ষিত থাকবে শুধুমাত্র রাজধানীর নাগরিকদের জন্যই এ নিয়ে গত সপ্তাহেই দিল্লিবাসীর মতামত নিয়েই রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ৯০ শতাংশের সমর্থন পাওয়ার পরই তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেজরীওয়াল।