নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- করোনা সতর্কতায় বাতিল হয়ে যাওয়া তিনটি বিষয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য রাজ্য সরকারী তরফ থেকে নির্ধারিত করা হয়েছিল ২রা,৬ই ও ৮ই জুলাই। কিন্তু পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডি. আই.গন ২৬ জুন অর্থাৎ আজ থেকে টিচারদের স্কুলে যোগ দেওয়া আবশ্যিক করে নোটিশ জারি করেছেন,যদিও পরীক্ষাগুলি আদৌ হবে কি না তা পুরোপুরি নির্ভর করছে দেশের শীর্ষ আদালতের উপর। 

রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণিশ জৈন এক অর্ডারে পরীক্ষার দিনগুলিতে সংশ্লিষ্ট সেন্টার ও সংশ্লিষ্ট টিচার উপস্থিত হতে বলে অর্ডার জারী করেছিলেন। সেখানে করোনা সতর্কতার সমস্ত নিয়ম মানার কথা উল্লেখ করে হয়েছিল। কিন্তু বর্ধমান ডি. আই দের ২৬ শে জুন থেকে কম্পলাসরি টিচার্স এটেন্ডেন্স সম্পর্কিত এই নির্দেশিকার ফলে শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। 

অনন্যোপায় হয়ে আজ থেকে স্কুলে যোগ দিলেও এতো আগে থেকে কেন তাদেরকে স্কুলে যোগ দিতে বাধ্য করিয়ে বসিয়ে রাখা হচ্ছে এই বিষয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। 

বর্তমানে সর্ববৃহৎ শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ'র পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাখার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে ডি.আই দের এ ধরনের নির্দেশিকা শুধু অমানবিকই নয়, এর দ্বারা করোনা সংক্রমণ বাড়ার একশ ভাগ সম্ভনা আছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান বিজিটিএ শাখা আমাদের সংবাদ দাতাকে জানিয়েছেন অন্যান্য জেলাগুলিতে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির নির্দেশিকা কে প্রাধান্য দেওয়া হলেও বর্ধমানের দুই জেলার মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক নিজে এই করোনা আবহে জেলার সমস্ত টিচারদের স্কুলে টেনে এনে চুড়ান্ত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। 

পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজিটিএ শাখার যুগ্ম সম্পাদক ও সম্পাদক যথাক্রমে ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ ও ধর্ম দাস যৌথভাবে বলেন," প্রস্তাবিত পরীক্ষা ২রা জুলাই, সে কারনে এখন থেকে টিচারদের স্কুলে এনে বসিয়ে রাখা চুড়ান্ত খামখেয়ালি সীদ্ধান্ত, যেখানে মহামান্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট রায় আছে যে ছাত্রছাত্রী না থাকলে টিচারদের স্কুলে আসতে বাধ্য করা যাবে না। শুধু তাই নয় এখন ট্রেন চলছে না গণপরিবহন ও স্বাভাবিক নয়। ফলে জীবন হাতে করে প্রচুর পয়সা খরচ করে স্কুলে যোগ দিতে হচ্ছে টিচারদের।" তারা আরো বলেন, "বিজিটিএ'র তরফে ডি আই দের এই তুঘলকি সীদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আবেদন জানাচ্ছি, কাজ না হলে সোসাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে ডি.আই অফিস ঘেরাও করবো।"