গত বছর মার্চ মাসে নিগমনগর নিগমানন্দ সারস্বত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গঠিত নিগমানন্দ সারস্বত বিদ্যালয় প্রাক্তনী সংঘের পক্ষ থেকে একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরে 'মানবিক দেওয়াল' নামে একটি প্ল্যাটফর্ম করা হয়েছিল যার উদ্দেশ্য ছিলো এলাকার দুঃস্থ মানুষদের জামাকাপড় দেওয়ার জন্য। তবে নতুনত্ব ছিল এটাই যে জামাকাপড় সরাসরি হাতে তুলে দেওয়া হতো না। কারণ অনেকেই লজ্জা বা অন্য কোনো কারণে নিজের প্রয়োজনটুকুও বলতে পারে না। তাই নিজেদের অব্যবহৃত জামাকাপড় সেই মানবিক দেওয়ালে ঝুলিয়ে রেখা হত, প্রায়োজন মতো মানুষ এসে নিয়ে যেতো। বর্তমান লকডাউনে আবার এক নিউন উদ্দ্যোগ নিলো এই প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা- '২০ তে কুড়ি'।

কি এই '২০ তে কুড়ি'?

লকডাউনে দুঃস্থ অসহায়দের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান দিতেই এই '২০ তে কুড়ি'। এখানে আপনি আপনার সাধ্যমত যেকোনো প্রয়োজনীয় জিনিসের কুড়ি প্যাকেট জমা দিয়ে যাবেন এই মানবিক দেওয়ালে। সেটাই দুঃস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই কুড়ি প্যাকেট হতে পারে চাল,ডাল, আলুর প্যাকেট অথবা ঘরে আলো জ্বালানোর জন্য প্রয়োজনীয় মোমবাতি বা স্রেফ দেশলাই এর প্যাকেট।


নিগমানন্দ প্রাক্তনী সংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "বর্তমানে আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। লকডাউনে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের সমস্যা হচ্ছে বেশি। এলাকার সকলের আর্থিক প্রয়োজন মেটানো সম্ভব না হলেও যতটা সম্ভব অসহায়দের কাছে আমরা সাহায্য তুলে দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাবো আমরা।
উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী অনির্বাণ নাগ, বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের পক্ষে শ্রীমতী সুজাতা চক্রবর্তী, সুকান্ত চক্রবর্তী, সঞ্জয় বিষ্ণু, সমীরণ দেবনাথ, উদয়শঙ্কর সাহা, অমিত কুন্ডু, অপরাজিতা চক্রবর্তী, টিটু দেবনাথ, কল্যাণ বর্মন প্রমুখ।