সুরশ্রী রায় চৌধুরী ঃ 

গোটা পৃথিবী এখন মুখোশের আড়ালে। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পারে একমাত্র মাস্ক। তাই মানবকুল নিজের মুখ ঢেকেছে মাস্কের আড়ালে। সমস্ত দেশেই প্রায় বাধ্যতামূলক করেছে মাস্কের ব্যবহার। বাড়ির বাইরে পা রাখতে গেলে ছাতা, ঘড়ি, জলের বোতল, টাকার ব্যাগের পাশাপাশি অবিচ্ছেদ্য হয়ে পড়েছে মাস্ক। চলছে রোকমারী মাস্কের ব্যবহার। অনেকে আবার মাস্ক পড়তে ভুলেও যাচ্ছেন। 

তাই অগত্যা দিল্লী সরকার মাস্ক না পরলে হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা ঘোষণা করলো। উত্তর প্রদেশ ৫০০, ছত্রিশগড় ১০০ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্য দিকে আমেদাবাদে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার ঘোষণা করে প্রশাসন। 

ভারতে ৩ লক্ষের অধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজারের বেশি। আইসিএমআর গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেও জুন-জুলাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু দিল্লীই নয় কেরল , ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড সরকার ও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলছে । 

উত্তরাখণ্ড সরকারের ঘোষণা মাস্ক না পরে বাইরে বেরোলে শুধু জরিমানা নয়, ৬ মাসের জেল পর্যন্ত হতে পারে। এমনই জানিয়েছেন শনিবার সে রাজ্যের রাজ্যপাল বেবি রানি মৌর্য। বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে মাস্ক না পরলে ৫ হাজার টাকা জরিমান এবং ৬ মাসের জেল হতে পারে। 


উত্তরাখণ্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০০। মৃত্যু ২১। পরিযায়ী শ্রমিকদের আসার ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১৮৯৭ সালের মহামারী আইন সংশোধন করে নয়া অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। ওই আইন সংশোধন করে কেরল ও ওড়িশাও। 

এদিকে, তেলেঙ্গনা সরকারও পাবলিক প্লেসে মাস্ক পড়ে বেরনো বাধ্যতামূলক করেছে। মাস্ক ছাড়া বেরোলে ১০০০ টাকার জরিমানা গুনতে হবে। গত ৮ই জুন এনিয়ে নির্দেশিকায় জারি করেছে তেলেঙ্গনা সরকার। 

লকডাউন পর্ব শেষ করে এখন আনলকের পথে হেঁটেছে দেশ। আন্তঃরাজ্য পরিবহণ চালু করা হয়েছে। খুলেছে কলকারখানা-অফিস। সংক্রমণ রুখতে ন্যূনতম বিধি-নিষেধ অত্যন্ত জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সামাজিক দূরত্ব মানা, মাস্ক পরা এখন বাধ্যতামূলক বলেই মত তাঁদের। এই সংকটকালীন অবস্থায় মানুষের ও উচিত আরও সচেতন হওয়া। মাস্ক নিয়ে র ও সচেতন হওয়া।