সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, তার জন্য চিনকেই দায়ী করল বিদেশমন্ত্রক। 

ভারত এবং চিনের মধ্যে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। ইদানিং সেই সীমান্ত এলাকাতেই দুই দেশের সেনার মধ্যে চাপানউতোর চলতে চলতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সোমবার রাতে গলওয়ান উপত্যকায় চিনের সাথে সহিংস মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রের খবর, সংঘর্ষে হতাহত হয়েছে চিনেরও। সোমবারই দু'পক্ষের ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। তার পরেই এই হামলা। 

এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সীমান্তের বিষয়ে দায়িত্ববান আচরণ বজায় রেখে ভারত নিশ্চিত করেছে, যাবতীয় কার্যকলাপ যেন ভারতের সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আমরা চিনের কাছ থেকেও একই আচরণ আশা করেছিলাম। আমাদের আশা ছিল, বৈঠকে যে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছিলাম, তার ভিত্তিতে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সরে যাবে চিনের সেনা। কিন্তু কথা রাখেনি চিন।’

বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘চিনের সেনাবাহিনী একতরফাভাবে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদল করার যে চেষ্টা চালায়, তার ফলেই গতকাল সন্ধে ও রাতে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই ক্ষয়-ক্ষতি হয়। চিন যদি বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত। আমাদের মতে, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে নিতে হবে। একইসঙ্গে আমরা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়ে দায়বদ্ধ।’