দিনহাটা মহকুমার একাধিক গ্রামীন বাজারে দেদারে বিক্রি হচ্ছে বিপন্ন ডাহুক পাখি। স্থানীয় প্রশাসনের অজ্ঞতা হোক, কিংবা অসাবধানতা- নজর দিচ্ছেন না কেউই। বুড়িরহাট, নাজিরহাট, বাসন্তীরহাট, খট্টিমারি  সহ একাধিক গ্রামীন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কোথাও ৮০ টাকা আবার কোথাও ১০০ টাকা করে বিক্রি হয় এই ডাহুক পাখি।  আজ সকালে বুড়িরহাট বাজার কমপ্লেক্সে মাছ-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দেখা গেলো এই বিপন্ন ডাহুক পাখি । 

বিশ্বের সাতটি প্রাণীবৈচিত্র্যপূর্ণ দেশের মধ্যে ভারত একটি। পূর্ব হিমালয়, পশ্চিম ঘাট, ইন্দো-মিয়ানমার অঞ্চল এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভারতের চারটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা। এসব এলাকায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে প্রায় ৫০০ প্রজাতির অতিথি পাখি আসে। অথচ সামান্য লোভের শিকার হয়ে বিপন্ন থেকে বিলুপ্তির পথে অতি পরিচিত  ডাহুক। সমাজকর্মী রতন সাহা জানিয়েছেন-
"বর্তমানে চলতে থাকা লকডাউনের ফলে প্রকৃতি আবার নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। দূষণের মাত্রা অনেক কমে যাওয়াতে ক্রমেই বিলুপ্ত হতে থাকা প্রাণী, পাখিরা আবার নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। ফিরে আসছে পুরোনো আস্তানায়। সমৃদ্ধ হচ্ছে পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্রে ভারসাম্য তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত, প্রাণ ফিরে পাচ্ছে পরিবেশ-প্রকৃতি। কিন্তু একদল স্বার্থান্বেষী মানুষ এই সামান্য বাস্তব টাকে বুঝতে চাইছে না! নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে নির্বিচারে শিকার করছে প্রকৃতির অমূল্য সব সম্পদগুলোকে। পরিযায়ী পাখি থেকে শুরু করে বিলুপ্ত হতে থাকা এরকম অসংখ্য প্রাণীকুলকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে বিভিন্ন চোরা শিকারকারীর দল। প্রশাসনীক উদাসীনতা তাদেরকে উৎসাহিত করছে সে-কথা বলাইবাহুল্য।"
এর আগে সংবাদের জেরে ক্ষট্টিমারিতে ভিলেজ পুলিশ পর্বানন্দ বর্মন এবং স্থানীয় সচেতন কিছু যুবকের হস্ত্ক্ষেপে ডাহুক শিকার বন্ধ হয়। কিন্তু এদিন প্রকাশ্যে বুড়িরহাট বাজার কমপ্লেক্সে কি করে ডাহুকের মতন বিপন্ন পাখি বিক্রি হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।