অসহায় মানুষের পাশে শিক্ষক সংগঠন UUPTWA



গৌতম সাহা,হুগলীঃ
আজ প্রায় ৫১ দিন হতে চলল সারা দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে । এখনও অনিশ্চিত কবে লকডাউন উঠবে এবং  মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে! করোনা ভাইরাসের দাপটে দেশ তথা পৃথিবী জুড়ে হাহাকার কারণ নতুন নতুন সংক্রমণ ও মৃত্য মিছিল অব্যাহত।তবে করোনা মহামারীর থেকেও বোধহয় আগামীদিনে কর্মসংস্থান ও খাদ্য সংকটে মানুষকে সবচাইতে বেশী ভুগতে হবে।সরকারও চেষ্টা করছে শহর তথা গ্রামেগঞ্জে মানুষের কাছে কি ভাবে খাদ্যশষ্য পৌছে দেওয়া যায়।লকডাউনের জন্য সমস্ত কাজকর্ম তথা অর্থ ও অন্ন সংস্থান শিকেয় উঠেছে।বিশেষ করে সমস্যায় বয়স্ক মানুষজন আর স্বামী হারা মায়েরা।

হুগলী জেলার এরকম একটি জায়গা পোলবা - দাদপুর এলাকার চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ২২০ টি পরিবারের  হাতে চাল, ডাল, আটা,তেল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হলো UUPTWA, হুগলী জেলা,পোলবা চক্রের তরফ থেকে।

এখানে উল্লেখ্য পোলবা চক্রের বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার আর্থিক সাহায্যে একটি ইমারজেন্সি রিলিফ ফান্ড গঠন করেন।উক্ত ফান্ড থেকে আজকে এই ত্রাণ কার্যটি সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়।

হুগলি জেলার পোলবা দাদপুর ব্লক এর রাজহাট অঞ্চলের উড়িয়া পুকুর, পোলবা অঞ্চলের শিঙি পাড়া, পাউনান, মহানাদ অঞ্চলের 12 বিঘা, হারমালা, আকনা অঞ্চলের কিছু আদিবাসী অধ্যুষিত অনুন্নত অসহায় 220টি পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বিধবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারগুলিকে এই ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় যাদের আয় বলতে তেমন কিছু নেই বললেই চলে, খুব অসহায় ভাবে দিন কাটছে তাদের,সরকারিভাবে তাদের কাছে ত্রাণ তেমনভাবে পৌঁছাচ্ছে না বলে তারা অভিযোগ জানায়। আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উস্তি ইউনাইটেড অ্যাসোসিয়েশনের  প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই কাজে সাহায্য করেন।এই অসময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেয়ে সকল অসহায় মানুষজন খুশিতে বাক্যহারা।পোলবা চক্রের এই সকল প্রাথমিক শিক্ষকদের এই কাজের তারা ভূয়ষী প্রশংসা করেন, কেউ কেউ দুহাত তুলে আশির্বাদ করেন তাদের।

আগামী দিনে এরকম নতুন নতুন জায়গায় অসহায় মানুষের পাশে তারা আবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে অঙগীকার করেন এই সংগঠনের মানবদরদী শিক্ষক- শিক্ষিকারা।