শিলিগুড়ি পৌরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধির সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেই মতই রাজ্য সরকার এই করোনা পরিস্থিতিতে অশোক ভট্টাচার্যকে প্রশাসক করে নুতন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ড গঠন করে আগামী দিনগুলিতে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য l কিন্তু অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডে পাঁচ তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধি থাকায় প্রশাসক হিসেবে থাকতে নারাজ হন অশোক ভট্টাচার্য l শেষ পর্যন্ত সরকার অশোক ভট্টাচার্য এর দাবী মেনে নিয়ে বোর্ড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় পাঁচ কাউন্সিলরকে l আগামী ১৮ ই মে থেকে শিলিগুড়ি পৌরসভায় নুতন প্রশাসক হিসেবে কাজ শুরু করবেন অশোক ভট্টাচার্য l

গতকাল তিনি জানিয়েছেন- "শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের বোর্ড অফ অ্যডমিনিস্ট্রেশন গঠনের একটি রিভাইস অর্ডার পেলাম। তাতে আমাদের বিগত পৌর বোর্ডের মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পারিষদের সদস্যদের নিয়ে এই বোর্ড অফ অ্যডমিনিস্ট্রেশন পুনর্গঠিত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচজন নির্বাচিত কাউন্সিলরদের এর থেকে বাদ রাখা হয়েছে। আমরা এই দাবিই করে আসছিলাম।" 

অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন- "করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বোর্ড অফ অ্যডমিনিস্ট্রেশন গঠনে কলকাতা সহ বিভিন্ন পৌরসভাতে যে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই ব্যাবস্থাই যেন শিলিগুড়িতে নেওয়া হয়। শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ব্যাতিক্রমি সিদ্ধান্ত আমরা কোনমতেই গ্রহণ করছি না, এটা জনসমক্ষে আমরা জানিয়ে দিয়েছি এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। রাজ্য সরকার বস্তবতা অনুভব করে সমস্ত বিষয়টি তারা যে পুনর্বিবেচনা করেছেন তার জন্যে আমরা সন্তুষ্ট এবং মাননীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।আমরা যদিও বিশ্বাস করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া দরকার।কোন নির্বাচিত প্রতিনিধিরই পাঁচ বছরের অধিক ক্ষমতায় থাকতে পারে না। কিন্তু বর্তমান পেন্ডেমিক করোনা ভাইরাস জনিত যে পরিস্থিতি এবং লক ডাউনজনিত পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা সম্ভব না। এই মুহুর্তে আমাদের সকলেরই দায়িত্ব ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা প্রশাসক মন্ডলীর দায়িত্বভার দ্রুত গ্রহণ করবো। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ির মানুষের পাশে থেকে সমস্ত পরিস্থিতির মোকাবিলা করবো। এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সমস্ত ধরনের সহযোগিতা পাবো আশা করি। সমস্ত বিরোধী দলের বন্ধুদের কাছেও সহযোগিতার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।"