SER20: বর্তমান করোনা আবহে তৈরি হওয়া নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক, সামাজিক অব্যবস্থার সাথে সাথে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত সবাই। লকডাউন জারি হওয়ায় সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে বলা মুশকিল। ফলে তাদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত ও আশঙ্কিত অভিভাবক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। 

এমতাবস্থায় আজ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার স্বার্থে  ভারতের ছাত্র ফেডারেশন, কোচবিহার জেলাজুড়ে মোট ১২ টি ব্লকে বিডিও এর কাছে একাধিক দাবি সহ ডেপুটেশন দেয়।  

করোনা থমকে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের পরিবর্তিত পাঠক্রম, পরীক্ষা ব্যবস্থা, বেসরকারি বিদ্যালয়ের ফি মকুব করা সহ বর্ধিত বাসাভাড়া ইত্যাদি বিষয়ে নানা দাবী পেশ করা হয়েছে বিডিওর কাছে। 

অন্যান্য ব্লকের সাথে সাথে দিনহাটা সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসে আজ ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন নাজির হাট-বড়শাকদল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি কপিল রায়, সম্পাদক সাব্বির রহমান, বামন হাট আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক ধনঞ্জয় বর্মন এবং আঞ্চলিক কমিটির সদস্য হারুন রশীদ আরো অনেকে।

তাদের দাবীঃ 
1.COVID -19 এর মোকাবিলায় লকডাউন অবশ্যই জরুরী,তবে সেই কারণে নতুন শিক্ষাবর্ষে পড়াশুনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ।তাই আমরা বলছি ছাত্র /ছাত্রীদের সিলেবাস,পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে কোনো ধোঁয়াশা না রেখে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরকে আগামী পরিকল্পনা ছাত্র/ছাত্রী দের স্বার্থে সুস্পষ্ট করা দরকার।

2.লকডাউন চলাকালীন ও পরবর্তী ৬ মাস সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে 'ফি' মুকুব করতে হবে।

3.ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি সরকারি ও বেসরকারি বাসে ভাড়া বৃদ্ধি হতে চলেছে,সেটা কোনো ভাবেই পড়ুয়াদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

4.লকডাউন পরবর্তীকালে স্কুল খুলে গেলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের লেখাপড়া ভাবনা চিন্তা করে শিক্ষকদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে এবং সেই বিষয়ে অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

5.৭৫%ক্লাসরুম ও ২৫%অনলাইন ক্লাসের প্রস্তাব বাতিল করতে হবে।

6.কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফি, হোস্টেল ফি মুকুব করতে হবে

7.প্রাপক ছাত্র ও গবেষকদের স্কলারশিপ/ফেলোশিপে কোনো কাটছাঁট চলবে না।

8.সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ চলবে না।