Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

আর্থিক প্যাকেজ- তৃতীয় দিনে সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর ঘোষনা

file picture

করোনা সংক্রমণে বিধ্বস্ত দেশ। লক ডাউনের জেরে কর্মহীন মানুষ, ধীরে ধীরে পতনের পথে দেশের অর্থনীতি। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশের প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষনা করেছেন। পাশাপাশি, আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার ডাক দিয়েছেন মোদী। জাতির উদ্দ্যেশে ভাষণে তিনি প্যাকেজের ঘোষণা করলেও প্যাকেজের বিশদ বিবরণের দায়িত্ব ভার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে দিয়েছেন তিনি। বুধবার থেকে সেই বিশদ বিবরণ সাংবাদিক বৈঠকে দিয়ে চলছেন তিনি। আজ শুক্রবার তৃতীয় দিনের বৈঠক। বিকাল ৪টায় আরম্ভ হয়েছে। 

আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০ লক্ষ কোটি টাকার করোনা প্যাকেজের চূড়ান্ত কিস্তির কোথায় কত বরাদ্দ হবে তা ঘোষণা করবেন। গতকাল সীতারামন ব্যাখ্যা করেন প্যাকেজের দ্বিতীয় কিস্তির খুঁটিনাটি, বলেন, এর ফলে পরিযায়ী শ্রমিক, ছোট চাষী, রাস্তার হকার ও ছোট ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। ২ মাসের জন্য সব পরিযায়ী শ্রমিককে বিনা মূল্যে রেশন দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়

আজ শেষ দিনের বৈঠকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যা যা ঘোষনা করছেন তা হল-



  • কৃষিতে যদি কৃষকের কল্যান না হয় তা হলে কৃষি কল্যান কি করে হবে, তাই সরকার সবসময় কৃষকদের কথা ভেবেছে।
  • আজ কৃষকদের জন্য ১১ টি বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া হয়।
  • ১৮ ৭০০ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় বিগত দুই মাসে দেওয়া হয়েছে।
  • পশুপালনঃ পশুপালনে ৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।
  • দুগ্ধ জাত সামগ্রী রফতানির ক্ষেত্রে ইনসেনটিভ দেওয়া হবে।
  • ডেয়ারি শিল্পের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে।
  • মৎস চাষঃ ২৪২টি হ্যাচারির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে আর যে গুলো হ্যাচারি রেজিস্ট্রেশন শেষ হচ্ছিল তাদের সময়সিমা বাড়ানো হয়েছে।
  • আগামী ৫ বছরে ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হবে দেশে।
  • ছোট খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলিকে সাহায্য করা হবে। এই খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে।
  • কোল্ড স্টোরেজে মজুত করার জন্যও দেওয়া হবে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি। এর জন্য মোট ৫০০ কোটি টাকা এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
  • আলু, পেঁয়াজ, টমেটো চাষিদের ক্ষতি হয়েছে। কারণ প্রচুর কৃষিপণ্য পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় চাষীদের কৃষি পণ্যের পরিবহণের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে।
  • এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্ট ১৯৫৫-এর অ্যামেন্ডমেন্ট আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এতে খাদ্যশস্য, ভোজ্য তেল, তৈলবীজ, পেঁয়াজ এবং আলুর মজুতের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। একমাত্র ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে এই সব পণ্যের মজুতে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
  • কেন্দ্রীয় আইন প্রনয়ণ করা হবে, যাতে আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যে কোনও অসুবিধা না থাকে। তাদের পণ্য ই-ট্রেডও করতে পারে। এমনকি চাষিরা যেখানে দাম পাবে সেখানে পণ্য বিক্রি করবে।
  • মৌমাছি চাষে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হবে। এই পদক্ষেপ গ্রামে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
  • দেশে হার্বাল উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে। গঙ্গার দু’ধারে এরকম ৮০০ হেক্টর জমি চিহ্নিত করা হবে। সেখানে এই ভেষজ উৎপাদন করা হবে।




রিফ্রেস করুন- বিস্তারিত আসছে


Ad Code