করোনা সংক্রমণের জেরে সারা দেশে চতুর্থ দফায় লক ডাউন চলছে। লক ডাউনের জেরে চরম সংকটে পড়েছে বহু ক্ষুদ্র শিল্প। ক্ষুধার্ত হয়ে রয়েছে বহু পরিবার। একদিকে যেমন করোনার থাবা তখন অন্যদিকে পেটের জ্বালা। এই চরম সংকটে বিড়ি শ্রমিকরা দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার জোগাড় করতে পাচ্ছে না। দীর্ঘ বেশ কিছু দিন কাটানোর পর এবার তাঁরা প্রশাসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। 

এদিন, কোচবিহার জেলা সংগ্রামী বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে লকডাউনে চরম সঙ্কটে বিড়ি শ্রমিকদের আর্থিক অনুদানের দাবি সহ একাধিক দাবিতে ডিএম অফিসে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন।

কোচবিহার জেলা সংগ্রামী বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নৃপেন কার্য্যি বলেন, লকডাউনের সর্বাত্মক সঙ্কটে বিড়ি শ্রমিকদের জরুরি কালীন সরকারি উদ্যোগে কাজ এবং পূর্ণ রেশন, খাদ্যসামগ্রী প্রদান, বিড়ি শ্রমিকদের ওষুধপত্র যাতায়াত পরিবার পরিচালনার জন্য ২৫ হাজার টাকা ও ঘর ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকা যানবাহন খরচ, বিড়ি শ্রমিকদের শিশু, সন্তান-সন্ততির জন্য দুধ, পুষ্টিকর খাদ্য সহ একাধিক দাবিতে আজ জেলা শাসক দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

তাঁদের দাবি গুলি হল- 
  • লক ডাউনে সর্বাত্মক সংকটে বিড়ি শ্রমিকদের জরুরী কালীন সরকারি উদ্যোগে কাজ ও পূর্ণ রেশন দিতে হবে। 

  • বিড়ি শ্রমিকদের ওষুধপত্র যাতায়াত পরিবার পরিচালনার জন্য ২৫ হাজার টাকা ও ঘর ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের ২৫ হাজার টাকা যানবাহন খরচ উভয়ই সরকারকে দিতে হবে। 

  • বিড়ি শ্রমিকদের শিশু, সন্তান-সন্ততির জন্য দুধ, পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। 

  • কেন্দ্রীয় শ্রম কল্যাণ দপ্তর ও রাজ্যের শ্রম দপ্তর কর্তৃক প্রকল্প গুলি চালু করতে হবে। প্রতি হাজার বিড়ি বাধাই বাবদ ২০০ টাকা দিতে হবে। পাশাপাশি, পেনশন দিতে হবে। 

  • শ্রম আইন লঙ্ঘন করে কাজের সময় ৮ ঘন্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করা চলবে না। 

  • মদ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। বাড়ী ফেরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশি জুমলাবাজি, তোলাবাজি বন্ধ করতে হবে।