মানব শরীরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করল আমেরিকার ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট ফাইজার। সোমবার প্রথম একজনের শরীরে ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করার পর আজ ৩৬০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে বলেই খরব। জার্মান বায়োটেকনোলজি ফার্ম বায়োএনটেক এসই-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ভ্যাকসিনের ডিজাইন ও ট্রায়াল করছে ফাইজার।

ফাইজারের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার অ্যালবার্ট বোরলা বলেছেন, 'খুব কম সময়ের মধ্যেই এই আরএনএ ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট বানানো হয়েছে। মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন ভালভাবেই কাজ করবে আশা করছি। ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে, আরও বেশি সংখ্যক মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা পর্যবেক্ষণ করা হবে।'

প্রাথমিক পর্যায়ে জন সুস্থ ও পূর্ণবয়স্ক মানুষের ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এই পরীক্ষা সফল হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সংক্রমণের ঝুঁকি যাঁদের সবচেয়ে বেশি তেমন মানুষজনের উপরে ট্রায়াল শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও যদি সফল হয়, তাহলেই ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতি সাপেক্ষে তৃতীয় পর্যায়ে সংক্রামিত রোগীদের উপরে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানো হবে বলে জানা গেছে। 

গবেষণার নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক উগার সাহিন বলেছেন, BNT162 আসলে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট। ল্যাবরেটরিতে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল হয়েছে। এবার মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করা শুরু হয়েছে।

ফাইজারের ভ্যাকসিন রিসার্চ বিভাগের প্রধান ক্যাথরিন জ্যানসেন জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন তৈরিতে আরএনএ টেকনোলজির প্রয়োগ করছে অনেক বায়োটেক সংস্থাই। এই আরএনএ ভ্যাকসিন দেহকোষকে ভাইরাল প্রোটিন তৈরিতে বাধ্য করে যাতে তার প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি শরীরেই তৈরি হয়ে যায়।