করোনা সংক্রমণের জেরে চলছে লক ডাউন। চতুর্থ দফায় লক ডাউন আগামী ৩১শে মে পর্যন্ত জারি করা হয়েছে। এর জেরে বন্ধ স্কুল কলেজ থেকে প্রাইভেট টিউশনও। আর তাই খাদ্য সংকটে পড়ছে গৃহ শিক্ষকরা। বারে বারে তাঁদের আর্জি তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক সরকার। এমনকি, "পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি"র পক্ষ থেকে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনও রুপ পদক্ষেপ নেননি সরকার।

এদিকে, "পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি"র বদনগঞ্জ ইউনিটের পক্ষ থেকে গৃহ শিক্ষকদের কাঁতর আর্তি একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। গৃহ শিক্ষকতা বন্ধের জেরে তাঁদের সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। তাই সরকারের কাছে তাঁদের আর্জি টিউশন শুরু করার অনুমতি দিক সরকার। 

তাঁদের কথায়, "পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি"র পক্ষ থেকে আমরা সকলে আমাদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ রেখেছি আর এখনো বন্ধ আছে। রাজ্য জুড়ে গৃহ শিক্ষক- শিক্ষিকাদের সংখ্যাটা মোটেও কম নয়। কিন্তু খুব দুঃখজনক যে, আমাদের কথা সরকার কর্তৃপক্ষ কেউ ভাববার প্রয়োজন মনে করছেন না। আর্থিক অনটনের কারণে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মার্চ মাস, এপ্রিল মাস ও মে মাসের কোনো রকম বেতন ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে পাবো না। আবার গ্রামের দিকে অনেকেই সারা বছরের বেতন এই সময়ে অর্থাৎ আলু চাষের পর শিক্ষকদের বেতন দেয়। তাই এই অবস্থায় আমাদের বেঁচে থাকাটাই খুব কষ্টকর। অনুরোধ করছি আমাদের টিউশন শুরু করার অনুমতি সরকার অবিলম্বে দিক, আমরা অবশ্যই আমাদের ব্যাচকে ছোটো ছোটো ভাগে ভাগ করে সকলেই মাস্ক ব্যবহার করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার কথা মাথায় রেখে ও আমাদের নিজেদের বাঁচার তাগিদে পড়ানো শুরু করতে চাই।" 

আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক করে সাথে থাকুন- 


মাননীয় মহাশয়,
          আমার বিনীত নিবেদন এই যে, করোনার ভাইরাসের প্রভাবে যে সংকট তৈরি হয়েছে তাতে প্রাইভেট টিউটররা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।
                      গত ২২শে মার্চ থেকে লকডাউন আইন কে মান্যতা দিয়ে রাজ্য জুড়ে "পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি"র পক্ষ থেকে আমরা সকলে আমাদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ রেখেছি আর এখনো বন্ধ আছে। রাজ্য জুড়ে গৃহ শিক্ষক- শিক্ষিকাদের সংখ্যাটা মোটেও কম নয়। কিন্তু খুব দুঃখজনক যে, আমাদের কথা সরকার কর্তৃপক্ষ কেউ ভাববার প্রয়োজন মনে করছেন না। আর্থিক অনটনের কারণে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মার্চ মাস, এপ্রিল মাস ও মে মাসের কোনো রকম বেতন ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে পাবো না। আবার গ্রামের দিকে অনেকেই সারা বছরের বেতন এই সময়ে অর্থাৎ আলু চাষের পর শিক্ষকদের বেতন দেয়। তাই এই অবস্থায় আমাদের বেঁচে থাকাটাই খুব কষ্টকর।
                            সরকার লকডাউনে বেশ কিছু বাধানিষেধ শিথিল করলেও আমাদের সমস্যা নিয়ে সরকার কর্তৃপক্ষের কোনো উচ্চবাচ্য নেই। আমরা কাতর অনুরোধ করছি সরকার অবিলম্বে আমাদের এই সমস্যার সমাধানে হস্তক্ষেপ করুক।
                          আমাদের অনেকেরই পুরো সংসার চলে এই টিউশনের মাধ্যমে উপার্জন করে। আমরা এই অনুরোধ করছি আমাদের টিউশন শুরু করার অনুমতি সরকার অবিলম্বে দিক, আমরা অবশ্যই আমাদের ব্যাচকে ছোটো ছোটো ভাগে ভাগ করে সকলেই মাস্ক ব্যবহার করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার কথা মাথায় রেখে ও আমাদের নিজেদের বাঁচার তাগিদে পড়ানো শুরু করতে চাই। 
                         দয়াকরে আমাদের এই বিপদের কথা ভেবে এই নিয়ে আপনার সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করুন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার ব্যবস্থা করুন। 

ধন্যবাদান্তে
চন্দন কুমার আখলী 
( W.B.P.T.W.A.বদনগঞ্জ ইউনিটের সভাপতি )
West Bengal Private Tutors' 
Welfare Association


আপনিও সাংবাদিক- আপনার এলাকার খবর পাঠিয়ে দিন আমাদের WHATSAPP নাম্বারে- 7602721810