file picture credit dna india
সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ 
করোনা মোকাবিলায় লড়াই করতে বলিউডের হিরোরা এখন রিয়েল লাইফে হিরোর ভূমিকা পালন করছে। অক্ষয় কুমার, সালমান খান , শাহরুখ খান থেকে শুরু করে বিবেক ওবেরয়, সোনু সুধ সবাই সাধ্য মতো সাহায্য করে চলেছেন। এবার সেই তালিকায়  যোগ হলো দেবের নাম। 

করোনার থেকেও দেশে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা। ফিরতি পথে সেই সকল শ্রমিকদের নির্মম মৃত্যু ভাবিয়ে তুলেছে দেশকে। সেই প্রেক্ষাপটে করোনা মোকাবিলায় সাংসদ কোটার সমস্ত অর্থ স্বাস্থ্যখাতে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। তিনি বলেন যে এই মুহুর্তে তাঁর সাংসদ তহবিলে এক কোটি টাকা জমা আছে। আরও যেসব অর্থ তিনি পাবেন তার সবটাই তিনি স্বাস্থ্যখাতে খরচ করবেন। এ বিষয়ে সকল সাংসদকেই এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেতা-সাংসদ।

করোনা সংক্রমনের বড় সমস্যা হলো পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা। জানা গিয়েছে বৈঠকে বারংবার যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হল পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এলে তাঁদের এবং বাড়ীর লোকজনকে কীভাবে কোয়ারেনটাইনে রাখা যায়। সেই বিষয়টি নিয়েই আধিকারিকদের পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছেন অভিনেতা-সাংসদ।

এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় প্যাকেজের সমালোচনাও করেছেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে দেব বলেন, “কুড়ি লক্ষ কোটি টাকা প্যাকেজের মধ্যে যদি শ্রমিকরা যে যেখানে আছেন সেখানের বাড়ির মালিকদের তিন মাসের ভাড়া মকুব এবং শ্রমিকদের দু’বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকত তাহলে অনেক বেশী উপকার হত তাঁদের জন্য।”

সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় বিধায়কদের নিয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে মেদিনীপুর এসেছিলেন সাংসদ দেব । বৈঠক শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, মাত্র চার ঘন্টার নোটিশে লকডাউন হলে কোনও শ্রমিক বাড়ি ফিরতে পারবে না এটাই বাস্তব। উল্লেখ্য, তাঁর সংসদীয় এলাকাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার সংখ্যা বেশি।

দেব বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিক একটা বড় সমস্যা এই মুহূর্তে। সরকার অনেক রকম ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সাংসদ হিসেবে আমার যত তহবিল তা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে দেওয়া উচিত। কারণ করোনা কোনোভাবেই যাবে না। একটা সময় আমাদের লকডাউন তুলতেই হবে। মানুষের আর্থিক প্রয়োজনে সরকারকে বাধ্য হয়ে লকডাউন তুলতে হবে। তাই এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোটাকে আরও ঠিক করা দরকার। জেলাশাসককে আমি জানিয়েছি আমার সাংসদ কোটার তহবিল এই খাতে ব্যয় করতে।”

অন্যদিকে, কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালের নার্সদের একাংশের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নেপথ্যে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন দেব, এমনটাই অভিযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর। এদিনের বৈঠক থেকে দেব বলেন- “এই মুহূর্তে ওরাই ঈশ্বর ছিল। চরম মুহুর্তে ওদের চলে যাওয়াটা দুঃখজনক। হাত জোড় করে অনুরোধ করছি ওদের থাকার জন্য। আমাদের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা করে আমাদের কাছে থাকুন। এই মুহূর্তে আপনাদের সবচেয়ে বেশি দরকার।”