করোনা সংক্রমণের জেরে সারা দেশে লক ডাউন জারির পর স্কুল, কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে যায়। দফায় দফায় লক ডাউন বাড়ার সাথে সাথে স্কুল গুলিও বন্ধের মেয়াদ বাড়তেই থাকে। এই নিয়ে চতুর্থ দফায় বাড়ল স্কুল বন্ধ রাখার মেয়াদ। এবার, ৩০শে জুন পর্যন্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে বলেই জানা গেল। 

এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, করোনার সাথে আম্ফানের বিপর্যয়ে মূলত ৮টি জেলা হুগলী, হাওড়া, কলকাতা, নদীয়া, উত্তর চব্বিশ পরগণা, দক্ষিন চব্বিশ পরগণা, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর এই জেলা গুলো ছাড়াও অল্প বিস্তর অন্য জেলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কয়েক হাজার স্কুলের ঘর ভেঙে গেছে, কোথাও মিড-ডে-মিলের ঘর ভেঙেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বহু স্কুল। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়াও রাজ্যে যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসছে কাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বা আইসোলেশন সেন্টার রাখার জন্য একাধিক স্কুলকে ব্যবহার করতে হচ্ছে। 

সবকিছু ভেবে চিন্তে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৩০শে জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে স্কুল গুলো। তবে, ছাত্র- ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। এই ব্যাপকতার মধ্যেও স্কুল খুললেও স্যানিটাইজেশন করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় খুবই চাপ ছিল। এইসব কথা ভেবেই ১০ই জুন এর পরিবর্তে ৩০শে জুন পর্যন্ত বিদ্যালয় ছুটি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

পাশাপাশি, তিনি বলেন, এই সময়কালে কিভাবে ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো যায়। এই কাজটি নির্ভর করবে আমাদের যারা ডি আই, এস আই আছে তাঁদের ওপর। নামের তালিকা করে যে শিক্ষকরা আছেন তাঁদের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে পড়িয়ে আসে। তবে, অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে। 

১ বছর অতিক্রম করলো সংবাদ একলব্য। আপনাদের সহযোগিতায় এভাবেই এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। প্রতিটা মুহূর্তে আপনাদের সাথে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার সংবাদ একলব্য’র। আপনার আশেপাশে ঘটেচলা ঘটনা জানান আপনি, আপনিই আপনার এলাকার মুখপত্র। আমাদের ফেসবুক পেজে SMS করুন ঘটনার বিবরণ ছবি/ভিডিও সহ।

আমাদের ফেসবুক পেজের টপ ফ্যানদের মধ্যে লাকি কয়েকজনকে প্রতিমাসে দেওয়া হবে উপহার। তাই নিয়মিত লাইক-কমেন্ট-শেয়ার করুন।


উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, উচ্চমাধ্যমিকের সেই বাকি থাকা তিনটি পরীক্ষা হবে ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাই। তবে বদল হতে পারে পরীক্ষার সেন্টার। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলির ১০৫৮টি সেন্টারের ৪৭০টি সেন্টার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেসব স্কুলের ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষার জন্য কয়েকটি কলেজকেও কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।  বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেভাবে পরীক্ষা পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে সেই পরীক্ষাগুলি সেভাবেই হবে।

তিনি আরও বলেন, আম্ফানের কারণে যাঁদের বই নষ্ট হয়ে গেছে তাঁদের সরকারের তরফে বই দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে এদিন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, সবার আগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যাতে বই পায় সেটা দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।