• ভেন্টিলেটর কিনতে ২ হাজার কোটি টাকা
  • ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণাতেও ১০০ কোটি টাকা
  • পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ১০০০ কোটি টাকা

করোনা লড়াই করতে প্রধানমন্ত্রী সিটিজেন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন এমার্জেন্সি সিচুয়েশনশ বা (পিএম-কেয়ার্স) ফান্ড ট্রাস্ট তৈরি হয় গত ২৭ মার্চ। এই রিলিফ ফান্ড নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল আগে থেকে যেখানে আছে, সেখানে এই আলাদা তহবিলের কী প্রয়োজন। এছাড়াও, (পিএম-কেয়ার্স) ফান্ডের ব্যাপারে কেন্দ্রের মোদি সরকারের ভূমিকা স্বচ্ছ নয় বলেই অভিযোগ করেছিল বিরোধী দল গুলো। 

প্রবল সমালোচনার মধ্যেই সেই ফান্ডকে কাজে লাগালো কেন্দ্র। সব মিলিয়ে কোভিড ১৯ মোকাবিলার প্রয়াসের পিছনে ৩১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও) থেকে। করোনা রোগীদের জন্য ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর কিনতে ২ হাজার কোটি টাকা, মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণাতেও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ওই তহবিল থেকে। পাশাপাশি, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ১০০০ কোটি টাকা যাবে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের কাছে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত, চিকিত্সার আয়োজন করা, তাদের বাড়ি পাঠানোর যানবাহনের বন্দোবস্তের পিছনে যাবতীয় প্রয়াসকে চাঙ্গা করতে এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থ রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত এলাকাগুলির জেলা আধিকারিক বা পুর কমিশনারদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবে।

পাশাপাশি, রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলিতে করোনা চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটর কিনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেই জানা গেছে। সরকারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার তদারকিতে ভ্যাকসিন তৈরির বরাদ্দ অর্থ ব্যবহার করা হবে।